অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে কিউআর কোডে কোভিড টিকা শুরু

ডেস্ক নিউজঃ ইউরোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আইসিটি বিভাগ দেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে ডিজিটাল রূপান্তর করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৃহস্পতিবার(১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে দেশজুড়ে সুরক্ষা অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

আজ থেকে শুরু হলো কম্পিউটারের কি-বোর্ড স্পর্শ ছাড়াই কিউআর কোড ব্যবহারের মাধ্যমে মুঠোফোন থেকেই করোনার টিকা নিবন্ধন ও প্রদান ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম। বিশেষায়িত এই অ্যাপ ব্যবহার করে জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য তারকা ক্রিকেট খেলোয়াড় সাম্য সরাকার, তাসকিন আহমেদ ও তামিম ইকবালবে টিকা প্রদানের মাধ্যমে শুরু হয় এই কার্যক্রম। ফলে এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম সমর্থিত স্মার্টফোন থেকেই নিবন্ধন করার পাশাপাশি যাবতীয় তথ্য পাবেন আগ্রহী টিকা গ্রহণকারী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আইসিটি বিভাগের ২০ জন প্রোগ্রামারার এই অ্যাপটি তৈরি করেছে। এই হোম গ্রোন সল্যুশনটি কোভিড ১৯ এর ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় ইউরোপের চেয়েও বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে। অথচ এই অ্যাপ বানাতে ভারত ও ইউরোপের দেশগুলো ৫-৭ মিলিয়ন ডলার চার্জ করেছে। অথচ তারা বিনা পয়সায় সুরক্ষা রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমটা ডেভেলপ করেছে। দেশের মানুষের জন্য করা হয়েছে।

পলক আরো বলেন, আজকে ইউরোপ-আমেরিকা যেভাবে কোভিড টিকা ব্যবস্থাপনা করছে, আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তার থেকেও ভালোভাবে এই কাজটি করছে।

রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে দেশজুড়ে এই সুরক্ষা অ্যাপের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক।

এসময় তিনি জানান, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ইউরোপের অনেক দেশ থেকে ভালো করেছে। কোনো গুজব কাজে লাগেনি। এখন প্রতি ঘণ্টায় এক হাজার লোক টিকা নিচ্ছেন। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন লাখ নিবন্ধন হচ্ছে টিকা নেওয়ার জন্য। প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে দুই থেকে সোয়া দুই লাখ মানুষকে। আরও ২০ লাখ ডোজ এমাসেই বাংলাদেশে চলে আসবে। প্রতি মাসে এটা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ, স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান এসময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যে সকলেই কোভিড ১৯ মোকাবেলায় আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সেবা উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের প্রশংসা করেন।

কিভাবে কাজ করবে সুরক্ষা ভ্যাকসিন প্রদান অ্যাপস

সুরক্ষা ভ্যাকসিন প্রদান অ্যাপস এর মাধ্যমে কেন্দ্রে ভ্যাকসিন প্রদানকারী তাৎক্ষণিক ভাবে ডিজিটাল ভ্যাকসিন কার্ডের থাকা QR কোড স্ক্যান করে অথবা সরাসরি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে তথ্য যাচাই করে ভ্যাকসিন প্রদান করবে এবং তা সরাসরি সুরক্ষা সার্ভারে আপডেট হবে।