আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণের কিস্তি পরিশোধে বিশেষ ছাড়

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণের কিস্তি পরিশোধে দেওয়া সুযোগ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আপাতত ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ জমা দিয়েই নিয়মিত গ্রাহক থাকা যাবে। কেউ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না।

দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঋণের বিপরীতে চলতি বছরের জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া কিস্তিগুলোর ন্যূনতম ৫০ শতাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করা হলে ওই সময়ে ঋণসমূহ বিরূপমানে বা খেলাপি শ্রেণিকরণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে অন্যান্য কিস্তির অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করা যাবে। এছাড়াও অন্যান্য কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে।

এই নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণের বিপরীতে এরই মধ্যে আদায় করা বা পরিশোধিত অর্থ আদায় হিসেবে বিবেচনা করা যাবে। ওই ঋণ হিসাবগুলোর সুদ বা মুনাফা প্রকৃত আদায় সাপেক্ষে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে ও এসময়ে কোনো দণ্ড বা সুদ বা অতিরিক্ত ফি চার্জ বা কমিশন (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আদায় করা যাবে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩-এর ১৮ (ছ) ধারায় দেওয়া ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করা হলো, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।