আশুলিয়ায় চলাচলের রাস্তা চেয়ে এলাকাবাসির সংবাদ সম্মেলন

সাভার প্রতিনিধিঃ সাভারের আশুলিয়ায় এলাকাবাসি ও জনগণের চলাচলের একমাত্র সরকারি রেকর্ডকৃত ২০ ফুট প্রসস্ত রাস্তা দখলকারীর হাত থেকে মুক্তকরণ ও অবৈধ স্থাপণা অককখকছখচপসারণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন চকক্ষ খবর করেছে ভুক্তভোগীরা। এলাকাবাসির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো: ফিরোজ ছখককবির আকাশ।

খখীকছ লিখিত বক্তখব্যে তিনি জানান, বাইপাইল এলাকার তিনি সহ ইঞ্জিনিয়ার মো: রুহুল আমিন, মিসেস সালমা নাসরিন, ডা. রেহানা নাসরিন, মিসেস রুবানা নাসরিখন, আর্কিটেক মো: নাফিজুর রহমান, প্রফেসর মেরিনা নাসরিন ও আছিয়া নাসরিন আশুলিয়ার বাইপাইলস্থ বুড়ির বাজার মেইনরোড সংলগ্ন সাব রোডে ৭জনের মালিকানাধীন ৪টি ভাড়াটিয়া কলোনী সহ একটি চারতলা বাড়ি রয়েছে। যেখানে প্রায় তিন শতাধিক মানুষের বসবাস। বাড়ীগুলোতে যাতায়াতের জন্য বাড়ির সম্মুখ বরাবরে ২০ ফুট প্রসস্ত একটি রাস্তা ছিল। কিন্তু আশুলিয়ার উত্তর গাজীরটে এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে হাজী মানিক মিয়া ১০ ফুট রাস্তা ক্ষমতার দাপটে দখল করে ফ্যাক্টুরী বিল্ডিং নির্মাণ করে দখলে নেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিএস রেকর্ডের সময় ১০ ফুট প্রসস্ত রাস্তা রেকর্ডভোক্ত হয়।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর আশুলিয়া প্রেসক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন আশুলিয়ার বাইপাইলের বুড়ি বাজার এলাকাবাসি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, কিন্তু গেল দুই মাস আগে তিনি তিন শতাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির মাঝখাচ্চছনে একটি সেমিপাকা দোকান নির্মাণ করে গ বাকী অংশ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এখানে বসবাস রত অধিকাংশ শ্রমিক ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে ও বাড়ির মালিকগন বন্ধী জীবন যাপন করছেন। এছাড়া সম্প্রতি হাজী মানিক মিয়া ওই রাস্তার পাশে বহুতল একটি ভবন নির্মাণ করছেন। যার উপকরণসমূহ রাস্তার উপর রাখায় চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। এসব ঘটনায় গত ২২আগস্ট আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভোক্তভোগীরা। এছাড়া গত ৩১ আস্ট সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করলে গত ২ সেপ্টেম্বর বাইপাইল মৌজাস্থিত বুড়ির বাজার মেইন রোড সংলগ্ন সাব-রোডে বিআরএস ৪৫৭৭, ৪৫৭৫ এবং ৪৫৭৬ দাগের রেকর্ডীয় সরকারি রাস্তাটি পরিমাপ পূর্বক পূনরুদ্ধারের নির্দেশ দেন। এবং সাভার ক্যান্টরমেন্টরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য ভুক্তোভোগীরা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ক্যান্টরমেন্টের সি.ই.ও সরজমিনে তদন্ত করে তার নির্মানাধীন ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে সাত দিনের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে বিষয়টি ব্যখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সহকারী কমিশনার ভুমি আশুলিয়া সার্কেলকে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা গেল।

তারা জানান, হাজী মানিক মিয়া গ্যাস সরবরাহ প্ইাপ লাইনের উপর আবাসিক ভবণ নির্মাণ করেছেন। যেকোন মূর্হুতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। এসকল অপর্কমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট আহবান জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থতি ছিলেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম, ইঞ্জিনিয়ার রহুল আমীন, মো. সহীরউদ্দিন মিয়া, জহির উদ্দিন মিয়া প্রমূখ।