আশুলিয়ায় প্রেমিকাকে বিয়ে না করে হত্যা লাশ বস্তাবন্দি বংশী নদীতে ফেলে দেয়

সাভার প্রতিনিধি: ঢাকার  অতি নিকটে সাভারের   আশুলিয়া  থানা ধীন পাথালিয়া ইউনিয়নের  নয়ারহাট এলাকার বংশী নদী থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় হ্যাপী আক্তার ৩০  নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে বংশী নদীর নয়ারহাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় মরেদহটি ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আশুলিয়া  থানা পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত হ্যাপী আক্তারের প্রেমিক বাবু আকন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান  পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর  ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, এই ঘটনায় বাবু আকন্দকে প্রথমে আটক করা হলেও নিহতের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবার হোসেন জানান, গত ৩১ মার্চ হ্যাপী আক্তার তার প্রেমিক বাবু আকন্দের সাথে দেখা করতে গিয়ে নিখোজ হন। 

পরে এই ঘটনায় হ্যাপী আক্তারের বাবা আশুলিয়া থানায় একটি নিখোজ ডায়েরী দায়ের করেন। সাধারণ ডায়েরী দায়েরের পরপরই পুলিশ তদন্তে নেমে সন্দান পায় বাবু আকন্দের। পরে পুলিশ বাবু আকন্দ তাদের কুরগাও এর বাসা থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হ্যাপী আক্তারকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বংশী নদীর নয়ারহাট এলাকা থেকে হ্যাপী আক্তারের বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনার দিন হ্যাপী আক্তার বাবু আকন্দের সাথে দেখা করে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে বংশী নদীতে ফেলে দেয়।

গ্রেপ্তার বাবু আকন্দ আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে এবং নিহত হ্যাপি আক্তার একই এলাকাতে বাবা-মাসহ বসবাস করে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।