আশুলিয়া -আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের দুই পাশে নোংরা পানির কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত

খোরশেদ  আলম, সাভার প্রতিনিধিঃ ঢাকার আদূরে  শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়া এখানে বাংলাদেশের সবচাইতে বেশি শিল্প-কলকারখানা তুলনামূলক অনেক বেশি, তাই মহাসড়ক গুলো ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্বস্তির বৃষ্টিতেও প্লাবিত বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শিমুলতলা এলাকায়। সামান্য বৃষ্টিতেই না হতেই  মহা সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ভারি বৃষ্টিতে কি রূপ ধারণ করতে পারে , তা নিয়ে শঙ্কায় এলাকাবাসীর।  অপরিকল্পিত বাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণ সহ পানি নিষ্কাষণের জন্য কোনো প্রকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাই হচ্ছে পানি প্লাবিতর মূল কারণ।
 মহাসড়কে থাকা ভ্যানচালক আজমত আলী বলেন , সরকারকে  দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জামগড়া শিমুলতলা ইউনিক পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে  আটকে থাকা পানির  কারণে আমরা  ঠিক মতন টিপ মারতে পারিনা রাস্তার মাঝখানে গর্ত পানির কারণে গর্ত দেখা যায় না ,  মাঝেমধ্যে আমাদের রিকশা   ও ভ্যান গর্তে পড়ে  যায় ভেঙে যায় রিকশা  ভ্যানের চাকা, আমরা  যা বারা আমারি  তা আবার ঠিক করতেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে আমরা কি খাবো। সরকার যদি এই রাস্তার পানীর সরাই দিত তাহলে আমরা ভালোভাবে চলতে পারতাম।
 মহাসড়কের পাসে দোকানদার রাজিব হোসেন বলেন, এই রাস্তাটা আব্দুল্লাহপুর ও বিমানবন্দর মহাকালী গুরুত্বপূর্ণ একটা রাস্তা এই রাস্তার অবস্থা এরকম আর প্রতিদিন এখানে গর্তে রিকশা-ভ্যান গর্তে পড়ে মানুষের হাত পা ভাঙ্গে, আর এই দুর্গন্ধ পানির কারণে আমাদের দোকানে বেচাকেনা কম কাস্টমার আসেনা, আমরা এমনিতেই লকডাউনে   আছি আমার চাই সরকার রাস্তা টা ভালো করে দেখ।
 শিমুলতলা রাস্তার পাশের হার্ডওয়ার দোকানের কর্মচারী জিলানী বলেন, নোংরা  পানির কারণে দোকানে বেচাকেনা কম কাস্টমার আসেনা, আবার নামাজের সময় হলে নামাজ পড়তে গেলে নোংরা পানির কারণে ওযু থাকে না, সরকারের কর্মকর্তারা যদি এদিকে একটু নজর দিতো  তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হত।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক কমিটির সভাপতি মো: লায়ন ইমাম হোসেন বলেন,নয়ন জুড়ি  খালের কারণে রাস্তার পানি নামে না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পানি ঢুকে,  আমাকে গত তিনদিন যাবৎ সড়ক ও জনপথ কাজের দায়িত্ব দিয়েছে আমি যতোটুকু পারতাছি ততটুকু করতাছি আমার  আর করার কিছু নাই। যারা স্থানীয় পল্লী উন্নয়ন এই ফ্যাক্টরির  রেমিট্যান্স  গুলো আহরণ করে তাদের উচিত হবে আলাদা  ড্রেনের ব্যবস্থা করা। আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল জনের জন্য আলাদা ড্রেন করা ।
 আর নয়নজুলি খেলেন বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে বলা আছে।
এলাকাটি শিল্পঞ্চল কেন্দ্রীক হওয়ায় এখানে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে বেশির ভাগই পোশাক শ্রমিক। সারাদিন কর্মস্থলে কাজ শেষে বাসায় ফিরতেই নারী-পুরুষ সকলকে এ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ফলে প্রতিদিন ঘটছে এ রাস্তাটিতে নানা ধরণের দূর্ঘটনা। এ বছর স্বল্প বৃষ্টিতেই শিমুলতলা এলাকায় এই মহাসড়কটি উপর হাটু সমান পানি জমে রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় জামগড়া থেকে ইউনিক পর্যন্ত মাঝখানে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা।
একদিকে সারাদেশে চলছে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাব, তারপরে যদি ড্রেনের ময়লা ও ক্যামিকেল যুক্ত পানি দিয়ে রাস্তার এই অবস্থা হয়, তাহলে পানি বাহিত রোগের আশঙ্কাও কিন্তু কম নয়। এই নিয়ে হতাশ অবস্থার মধ্যে রয়েছে এই এলাকায় বসবাসকারীরা।
এ এলাকায় কর্মরত এক পোশাক শ্রমিক  জানান, কর্মস্থলে কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় দোকান থেকে চাল-আটা কিনে আসতে ছিলাম, ফুট পথে অস্থায়ী দোকান এর কারণে সর্তক হয়ে হাটা সত্তেও হঠাৎ করে গর্তে পড়ে তা ভিজে একাকার হয়ে যায়। যা কোন ক্রমেই ব্যবহার ও খাওয়ার যোগ্য নেই। বর্ষা আসতে না আসতেই এ অবস্থা তাই বাসা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কয়েকজন বাড়ির মালিক  জানান, বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট। ফলে তাদের একমাত্র বাড়ি ভাড়ায় আয় কমে যাচ্ছে। ভাড়াটিয়ারা এ পরিবেশে থাকতে চায় না। তারা প্রতিনিয়তই বাসা ছেড়ে দিয়ে সুবিধা মত জায়গায় চলে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এমনিতেই করোনা জন্য লকডাউনের কারণে খুব দুর্বাস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে আমাদের ব্যবসা, তারপরে রাস্তার এই অবস্থা। সব মিলিয়ে রাস্তায় পানি থাকায় আমাদের বেচা-বিক্রি নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় আমরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছি ।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন পোশাক শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদের সাব-এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আগামী নিউজকে বলেন, মহাসড়কের পানি নিষ্কাষনের জন্য ইত্যি মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে। আসলে পানি যেই খাল দিয়ে যায়। সেই নয়নজুড়ি খালটাই দখল করে রেখেছে অনেকে। তাহলে পানি যাবে কিভাবে? আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও আছে, যা  ময়লা ফেলে ভরে রেখেছে স্থানীয়রা।  আমরা ময়লা পরিষ্কারের জন্য কাজ শুরু করেছি।