ইদিলপুরে বিষ্ময়ঘেরা বনসাইয়ের এক অপূর্ব বাগান

খ্রীষ্টোফার মিথুন মন্ডল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার অন্তর্গত গ্রামটির নাম ইদিলপুর। এই গ্রামের বাজারের রাস্তা ধরে ‘শিশুপল্লী’ নামক প্রতিষ্ঠানটি ছাড়িয়ে মোটামুটি ৫০০ গজ এগোলেই চোখে পড়বে এই কাঙ্খিত বনসাই বাগানটি। মিঃ পুলক সাংমা নামক নীরব এক কারিগর নিভৃত্তে সৃষ্টি করে চলেছেন একের পর এক অপূর্ব দর্শন বনসাই।

২০০৫ সালের গোড়ার দিকে মিঃ পুলক সাংমা নিজ হাতে গড়ে তোলেন তাঁর স্বপ্নের এই বনসাই বাগানটি। তারপর থেকে আজ অবধি তিনি সৃষ্টি করে চলেছেন বিভিন্ন প্রজাতির ও প্রকৃতির নানান বনসাই।

শক্ত কাণ্ড আছে এরকম গাছকে খর্বাকৃতি করে তৈরি করার শিল্পকে বলা হয় বনসাই। প্রথমেই নির্ণয় করে নিতে হয় এর গড়নটি কেমন হবে, তারপরেই নির্বাচন করতে হয় সেটির জন্য সঠিক পাত্র বা টব। অতঃপর শুরু হয় প্রতিনিয়ত পরিচর্যা থেকে শুরু করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার এক কঠিন সংগ্রাম। মিঃ পুলক সাংমার এই বাগানটিতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০০ বনসাই রয়েছে। মনোরম পরিবেশের এই বাগানটি দেখাশোনার জন্য রয়েছে ৫ জন কর্মচারী।

প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থী ও ক্রেতারা ছুটে আসেন এই বাগানে। কেউবা বনসাই দেখেই চোখ জুড়ান আবার কেউবা কিনে যত্ন করে বাড়ি নিয়ে যান। এ বিষয়ে মিঃ পুলক সাংমা জানান, করোনাকালীন সময়টাতে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের সমাগম একটু কম ছিলো তবে এখন সেটা বাড়ছে। বনসাইয়ের পরিচর্যাকালীন সময়, প্রজাতি ও আকৃতিভেদে দাম কমপক্ষে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ক্রমে বৃদ্ধি পায়।
‘বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটি’ এর তত্ত্বাবধানে আগামী অক্টোবর মাসের শেষে ঢাকা শের-এ-বাংলা নগর এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে বনসাই প্রদর্শনী/বৃক্ষমেলা।

বনসাই সাধক মিঃ পুলক সাংমা প্রতিবছরের মতো এবারও সেই বনসাই মেলায় অংশগ্রহন করতে চান। পরিশেষে, তিনি সকল বনসাই প্রেমীদেরকে তার নিজের গ্রাম ইদিলপুরে তার সাধনার চারণভূমি এই বনসাই বাগানে আসার আন্তরিক আহ্বান জানান।