ঈদের দিনে পছন্দের খাবারগুলো যেভাবে খাওয়া উচিত

ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদুল আজহা মানেই গরু-খাসির মাংস এবং মাংসের তৈরি বিভিন্ন খাবার খাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায় সব মুসলমানদের মাঝে। পছন্দের খাবারগুলো ঈদে অবশ্যই গ্রহণীয়। তবে তা একবারে একই সঙ্গে গ্রহণ না করে একটু পর পর ধীরে ধীরে গ্রহণ করাটা ভালো। এতে হজমের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি বা অন্যান্য জটিলতা হবার সম্ভাবনা কম থাকে।

ঈদের দিনে সকালে সব বাসায় নানা ধরনের মিষ্টিজাতীয়, ডুবো তেলে ভাজা টক-ঝাল-মিষ্টি খাবারের আইটেম থাকে। কিন্তু সব ধরনের মজাদার খাবার এক সঙ্গে না খেয়ে একটু করে বারে বারে খাওয়াটা ভালো।

যেমন সকালে হাফ কাপ ফিরনি/সেমাই বা দুধের তৈরি যে কোনো মিষ্টি খাবার, ঝালজাতীয় যে কোনো খাবার খিচুরী বা বিরিয়ানী এক কাপ পরিমাণ সঙ্গে কিছুটা মিক্সড সালাদ থাকতে পারে সকালের খাবারে।

মধ্য সকালের খাবারে বেশ কিছুটা রঙিন সবজি ও ডিম দিয়ে রান্না করা নুডুলস বা ঘরে তৈরি চটপটি/হালিম শশা, টমেটো, ধনে পাতা, কাঁচা পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে মিক্সড করে হাফ কাপ পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে থাকতে পারে যে কোনো মৌসুমী ফল বা চিনি ছারা ফলের জুস বা ফলের স্মুতি।

দুপুরের খাবারের মেনুতে থাকে এইদিন নানা ধরনের খাবার। যেমন গরুর কালো ভুনা, কসানো গরুর মাংস, কাবাব, রোস্ট, পোলাও, বিরিয়ানী সেই সঙ্গে মিষ্টি। কিন্তু খাবারের প্লেটটি সাজাতে হবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে। যেমন: এক কাপ পরিমাণ সাদা পোলাও বা বিরিয়ানী, ছোট সাইজের একটি চিকেন রোস্ট, সেই সঙ্গে বেশ খানিকটা সালাদ দিয়ে যদি দুপুরের খাবার সাজানো যায় তবে তা স্বাস্থ্যকর। এবং খাবারের পর যদি কিছুটা টকদই খাওয়া যায় তবে তা হজমে সাহায্য করবে।

বিকালের খাবারে দুই পিস ছোট টিকিয়া, এক পিস পুডিং এবং সঙ্গে ফলের সালাদ খাওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে সন্ধ্যায় ২০-২৫মিনিটের মতো হাঁটাহাটি করলে ক্যালরি কিছুটা বার্ন হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না।

রাতের খাবারটি হবে একদম নরমাল কিন্তু সুস্বাদু। যেমন: দু টুকরো আটার রুটি, ৪-৫ টুকরা চর্বিবিহীন মাংস, সেই সঙ্গে মিক্স রান্না সবজি ও কাঁচা সালাদ। এই তো হয়ে গেলো রাতের খাবার। রাতে কোনোভাবেই ভারি খাবার গ্রহণ করা যাবে না। এবং ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ খেলে ভালো।

এভাবে সারাদিন সব ধরনের মজাদার খাবার নিয়ম করে গ্রহণ করলে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাবও পড়ল না, সেই সঙ্গে পছন্দের সব ধরনের খাবারও গ্রহণ করা হলো। এভাবে যদি একটু নিজের খাবারের প্রতি সচেতন থাকা যায় তবে সুস্থ থাকাটা সম্ভব।