একটা ঘর পেয়ে মানুষ যখন হাসে বেশি ভালো লাগে

প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহার, ৩২ হাজার ৯০৪টি
পরিবারকে ঘর দিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
একটা ঘর পেয়ে মানুষ যখন হাসে তখন সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা এটাই চেয়েছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, একটা ঘর পেলে মানুষ সবকিছু পেয়ে যায়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক বেদখল জমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে ঈদের আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ৩২ হাজার ৯০৪ জনকে ঘর উপহার দিচ্ছি। আমি বলব, এটা ঈদ উপহার।
শেখ হাসিনা বলেন, সবচেয়ে ভালো লাগে ঘর পাওয়া মানুষের মুখের হাসি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখেই হাসি ফোটাতে চেয়েছেন। এই বাংলাদেশ যেন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করছি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে, সে জাতি পিছিয়ে থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, অর্থ, বিত্ত, সম্পদ, টাকা-পয়সা কোনো কাজে লাগে না। করোনার প্রকোপের সময় আমরা দেখেছি, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিকেরও কিছু করার ছিল না। যারা বাংলাদেশে কোনোদিন চিকিৎসাই নেয়নি, তাদের এখানেই ভ্যাকসিন নিতে হয়েছে। এর আগে সর্দি কাশি হলেও তারা উড়ে চলে যেত বিদেশে চিকিৎসার জন্য। এ সময় বরগুনা সদর উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি পাওয়া তৃতীয় লিঙ্গের একজনের বক্তব্য শোনেন প্রধানমন্ত্রী।
২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ৬০ হাজার ১৯১টি এবং ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩০০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত মোট ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণাধীন একক ঘরের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬৭৪টি। এর মধ্যে আজ ৩২ হাজার ৯০৪টি হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘একটি পরিবারও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না’— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার পর থেকে যাদের নিজস্ব জমি নেই, ঘর নেই তাদের জমি ও ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে এসব বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি খাস জায়গা কিংবা দখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করে। ইতোমধ্যে দেশের আট বিভাগে বিপুল পরিমাণ বেদখল হওয়া সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা এই জমির মূল্য প্রায় ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, ঘরগুলো বেশ মজবুতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘরসহ বাড়ি যাদের দেওয়া হবে, আগেই তাদের বলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ঘরগুলো সঠিক তদারকির সুযোগ পাচ্ছেন ভূমিহীনরা।