কপিলমুনি ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ ও কনস্টেবল ফুরকানের দুর্নীতি ঢাকতে অভিনব কৌশল

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ এলাকার মাদক সিন্ডিকেট, জুয়া ও ভারতীয় মালামালের টাকা কালেকশনসহ বহু অপকর্মের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা বনে যাওয়া কপিলমুনি ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ ও কনস্টেবল ব্যাচ নং-১০১৪ মীর ফুরকান আলী নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে অভিনব কৌশলে নেমেছে। প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে একটি মোটা অংকের মিশনও মাঠে নামিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে বাজারের ব্যবসায়ী, এলাকাবাসী ও সচেতন মহল এ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বদলী পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

সূত্রমতে জানা যায়, সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০.৩০ মিনিটের দিকে তড়িঘড়ি করে কপিলমুনি বাজারে নামমাত্র করোনাকালীন মাস্ক বিতরণের ফটোসেশন করেছেন ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ ও কনস্টেবল মীর ফুরকান আলী। তবে একটু দেরিতে হলেও তাদের যে শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে, সেটাকে অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিগত দিনে করোনাকালীন কপিলমুনিতে মাস্ক ব্যবহার না করার জন্য যে জনগণকে ১শত টাকা করে অলিখিত জরিমানা দিতে হয়েছে সঞ্জয় দাশকে আজ সেখানে তাদের নিজ হস্তে মাস্ক বিতরণের ফটোসেশন দেখে অনেকে হতবাক হয়েছেন। এমনকি একটি মাস্ক বিতরণের বিপরীতে একাধীক ফটোগ্রাফার দিয়ে ফটোসেশনের চিত্র রীতিমত হতবাক করেছে বাজার ব্যবসায়ী ও পথচারীদের। এমন চিত্র দেখে এলাকাবাসীর মাঝে প্রশ্ন জেগেছে, কেনই বা আকস্কিক ভাবে সঞ্জয় দাশের মাস্ক বিতরণের ফটোসেশন? তাহলে কি এবার নিজের দুর্নীতির মোড় অন্যদিকে ঘুরাতে এমন উদ্যোগ? তবে বিগত বছর করোনাকালীন সময় ও বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপট পর্যন্ত কখনও তো তাকে এমন প্লাটফর্মে দেখা যায়নি? হঠাৎ এমনি উদ্যোগের হেতু কি? আবার সম্প্রতি তাদের বিরম্নদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ফলশ্রম্নতিতে এমন উদ্যোগ নই কি? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকাবাসীর মাঝে। তবে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, এবার শতচেষ্টা করেও হয়তোবা শেষ রক্ষা হবেনা তাদের। এমন বিষয়ও চাউর হচ্ছে এলাকাময়। কারণ সম্প্রতি সঞ্জয় দাশের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আবার একনাগাড়ে দীর্ঘদিন একই স্থানে চাকুরীর সুবাদে মাদক সিন্ডিকেট থেকে শুরু করে এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সঞ্জয় দাশ ও ফুরকান। যাহা গোপন তদন্তে উঠে আসতে পারে অবৈধ ভাবে উপার্জনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা বনে যাওয়া নেপথ্যে থাকা ঘটনার অন্তরালের কাহিনী। বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ জনপদের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জরম্নরী ভিত্তিতে তাদেরকে এ কর্মস্থল থেকে বদলী পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরের প্রতি জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কপিলমুনিবাসী।