কাদের মির্জার ডাকে হরতাল চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার আহ্বানে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পরিদর্শককে (তদন্ত) প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁর সমর্থক দলীয় নেতাকর্মীরা হরতাল পালন করছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারিত) রাতভর কোম্পানীগঞ্জ থানা অবরোধ করে রাখার পর আজকে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিভিন্ন দাবিতে উপজেলার সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করে পৌর মেয়রের সমর্থকেরা সেখানে হরতাল পালন করছেন।

কোম্পানীগঞ্জ-মাইজদী সড়ক, ফেনী-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক, চাপরাশিরহাটসহ সব সড়কের ওপর গাছের গুড়ি, বাঁশ ও বাস আড়াআড়ি করে রেখে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে হরতালের জন্য কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা সদরের দোকানপাট সব বন্ধ আছে। এমনকি বাইরে থেকে কোনো যানবাহন কোম্পানীগঞ্জে ঢুকতে পারছে না।

সকাল থেকে চলমান এই কর্মসূচির কারণে যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা ঘটায় রাস্তায় মানুষকে বিপাকে পড়তে দেখা গেছে। এতে অনেককে পরিবার-পরিজন নিয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়। অন্যদিকে হত্যা করা হতে পারে—এমন আশঙ্কা করে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিজে বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।

বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নবনির্বাচিত মেয়র কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, আমাকে, আমার পরিবারের সদস্য ও সমর্থকদের হত্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য ৫০ কোটি টাকার ফান্ডও করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি এবং এসবের সঙ্গে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা জড়িত। এতে কর্মসূচি চলাকালে তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ, রাহাত, রবিউল প্রমুখের গ্রেপ্তারের দাবির পাশাপাশি নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন কাদের মির্জা।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাতস্থান থেকে ফেসবুক লাইভে এসে তাঁকে (কাদের মির্জা) গালিগালাজ করলে সবুজকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এরপর পুলিশ ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করে পরে আবার ছেড়ে দিলে আবদুল কাদের মির্জা ক্ষুব্ধ হয়ে থানার সামনে গতকাল মঙ্গলবার থেকে অবরোধ শুরু করেন।

বুধবার সকালে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে এই হরতাল। কাল সকাল পর্যন্ত এক্সিট দিলাম চলি যাক। ডিসি সাব, এসপি সব চলি গেলে, অপরাজনীতি বন্ধ হলে, আমার ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হলে- আমি কালকে থেকে হরতাল করুম না। আর যদি দাবি না মানে… আমার সব দাবি মানতে হবে।

নবনির্বাচিত মেয়র আরও বলেন, আমি এখন অবস্থান নিব আমার পৌরসভাতে, আমি বাড়িতে যামু না। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি লাগাতার… এরপর আরো কঠিন হরতালসহ লাগাতার কর্মসূচি দিমু।