কীভাবে হবে বীমা শিল্পের উন্নয়ন

মো. মাহমুদুল ইসলাম: বীমা শিল্প সংশ্লিষ্ট অনেকের মুখে শোনা যায়- বীমা শিল্প কি এগোচ্ছে নাকি পিছিয়ে যাচ্ছে? আজ হতে দশ বছর পূর্বে ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৪ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম স্টাফ করেসপন্ডেন সাঈদ শিপনের “বীমা খাতে ছন্নছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা” শিরোনামের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়- তৎকালীন আইডিআরএ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও একমাত্র সদস্য মো. ফজলুল করিম বলেন, সরকার এখনো আইডিআরএ’র অর্গনোগ্রাম পাশ করে নি। চেয়ারম্যান ও তিন সদস্যের পদ খালি পড়ে রয়েছে। এতে জনবল সংকটের কারণে অনেক কাজ করা হচ্ছে না।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন ছন্নছাড়া অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম আর দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে বীমা কোম্পানিগুলো। অতিরিক্ত কমিশন ব্যয়, বাকিতে বীমা ব্যবসা, পরিচালকদের অর্থ আত্মসাৎ, প্রিমিয়ামের টাকা শতভাগ সমন্বয়, সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়ে দুর্নীতি, ছাড়পত্র ছাড়া নিয়োগ দেওয়া, ভুয়া পলিসি, এক কোম্পানির পলিসি অন্য কোম্পানিতে নিয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ব্যবস্থাব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ (গ্রাহকের দাবি না দেওয়া) —-এসব অনিয়মের কোনোটাই বন্ধ হয়নি।

অথচ আইডিআরএ গঠতি হওয়ার পর তড়িৎ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে সাময়িকভাবে এসব অনিয়ম বন্ধ হয়েছিল। লোকবল সংকটে ধীরে ধীরে থেমে যায় আইডিআরএ’র পদক্ষেপ।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) গঠন হবার পরে চেয়ারম্যান পদে বিভিন্ন মেয়াদে যারা দায়িত্ব পালান করেছেন: (১) জনাব এম. শেফাক আহমেদ, একচ্যুয়ারি ২৭-০১-২০১১ থেকে ২৬-০১-২০১৪ পর্যন্ত (২) জনাব মোঃ ফজলুল করিম (ভারপ্রাপ্ত) ২৯-০১-২০১৪ থেকে ০৩-০৩-২০১৪ পর্যন্ত (৩) জনাব মোঃ কুদ্দুস খান (ভারপ্রাপ্ত) ০৪-০৩-২০১৪ থেকে ০৮-০৪-২০১৪ পর্যন্ত (৪) জনাব এম. শেফাক আহমেদ, একচ্যুয়ারি ০৯-০৪-২০১৪ থেকে ০৮-০৪-২০১৭ পর্যন্ত (৫) জনাব গকুল চাঁদ দাস (চঃ দাঃ) ০৯-০৪-২০১৭ থেকে ২২-০৮-২০১৭ পর্যন্ত (৬) জনাব মোঃ শফিকুর রহমান পাটোয়ারী ২৩-০৮-২০১৭ থেকে ২২-০৮-২০২০ পর্যন্ত (৭) ড. এম. মোশাররফ হোসেন এফসিএ (ভারপ্রাপ্ত) ২৬-০৮-২০২০ থেকে ২৬-০৯-২০২০ পর্যন্ত (৮) ড. এম. মোশাররফ হোসেন এফসিএ ২৭-০৯-২০২০ থেকে ১৪-০৬-২০২২ পর্যন্ত এবং সর্বশেষ ১৬ জুন ২০২২ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত দায়িত্বে রয়েছেন (৯) জনাব মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২১ বণিক বার্তায় “বারবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন আইডিআরএ চেয়ারম্যানরা” শিরোনামে মেহেদী হাসান রাহাতের প্রতিবেদনে উঠেআসে দেশের বীমা খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার তাগিদে ২০১১ সালে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) গঠন করে সরকার। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংস্থাটি বিতর্কিত হয়েছে বারবার। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইডিআরএর চেয়ারম্যানরাই ছিলেন এসব বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে।

সাবেক চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনসহ এখন পর্যন্ত সংস্থাটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে পূর্ণকালীন দায়িত্ব (ভারপ্রাপ্তদের বাদ দিয়ে) পালন করেছেন তিনজন। আইডিআরএকেন্দ্রিক বিভিন্ন অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনজনই। চলতি বছরে আইডিআরএ’র বর্তমান চেয়ারম্যানকে নিয়েও লেখা শুরু হয়েছে ০২ জুন, ২০২৪ যুগান্তর পত্রিকায় “লাগামহীন দুর্নীতি আইডিআরএ চেয়ারম্যানের- ধ্বংস করে দিচ্ছেন একের পর এক বীমা প্রতিষ্ঠান” এবং ১২ জুন , ২০২৪ আমার সংবাদে মো. ইমরান খানের প্রতিবেদন “কার্যকর ভূমিকায় নেই আইডিআরএ- ধ্বংসের পথে বীমা খাত” এমন সংবাদ বীমা শিল্পের প্রতি সর্বসাধারণের মনে ভীতি সৃষ্টি করছে। এ থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় আছে কি?

যারাই বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নেন তাদের বিরুদ্ধেই লেখা হলে, সাধারণ নাগরিকদের মনে প্রশ্ন জাগে কোনো চেয়ারম্যানই কি ভালো না, নাকি ভালো থাকতে পারছে না। প্রকৃত সমস্যা কোথায়, তা এখন খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। যদি তা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও দায়িত্বশীল কেউ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হতে আগ্রহী না হবার আশঙ্কা রয়েছে। যা এই শিল্পের জন্য কোনভাবেই কাম্য নয়।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত তাঁর একমাত্র পেশা বীমা। তাই বীমা শিল্পকে কালিমা মুক্ত রাখতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত দশক হতে যেভাবে বীমা শিল্পের উন্নয়নে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা প্রশংসার দাবিদার। তবুও অদৃশ্য অপশক্তির ভয়েল থাবা এ শিল্পের উন্নয়নকে আঁকড়ে ধরে আছে। আমরা আশাবাদী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাতেই বীমা শিল্পের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে বীমার আওতায় রয়েছে ৮ শতাংশের কম মানুষ। এখানে বীমা খাতের প্রতি সাধারণভাবে আস্থা সংকটের কারণগুলো কী খুঁজতে গেলে যা সহজে চোখে পড়ে: গ্রাহকদের বীমা দাবি পূরণে কোম্পানিগুলোর অনীহা, দক্ষ জনবলের অভাব (কেন দক্ষ জনবল তৈরি হচ্ছে না; বাঁধা কোথায়? এই দায় কে নেবে), বীমা কোম্পানিগুলোর পেশাদারত্বের ঘাটতি (যখন তেলবাজ চাটুকাররা অবৈধ সুবিধা নিতে নিতে দ্বৈত দানবে পরিণত হয়, তখন যোগ্যদের অবমূল্যায়নের কারণে তারা এ শিল্প থেকে হারিয়ে যায়), সামগ্রিকভাবে বীমা খাতের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, নতুন বীমাপণ্য না আসা, প্রযুক্তিগত দক্ষতায় পিছিয়ে থাকা, প্রয়োজনীয় যুগোপযোগী আইন-কানুনে ঘাটতি এবং কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিরাজমান অসুস্থ প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত এ খাতের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। যার ভুক্তভোগী সাধারণ বীমা গ্রাহক, কর্মী-কর্মকর্তা এমনকি উচ্চ পদে চাকরি করেও অনেকেই হাপিয়ে উঠেছে। যে পদেই কর্মরত হোক অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং কোম্পানি ও বীমা শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে উচিত কথা বললে চাকরি হারাবার রুহুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে, এমনকি অনেককে সুকৌশলে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে (এ কারণে সহজে কেউ মুখ খুলতে চায় না), কিছু প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতি ও অবৈধ সুবিধা নিতে হর হামেশাই বসদের খুশি করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবার তালিকা দীর্ঘ হতে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে যারা পাচাটা তেলবাজদের দলে শামিল না হচ্ছে তাদের অবমূল্যায়ন ও অবজ্ঞায় কোণঠাসা হয়ে কোনরকমে চাকরি করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে হবে বীমা শিল্পের উন্নয়ন।

আইডিআরএ-এর প্রকাশনা তথ্য অনুযায়ী ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গ্রাহকের ৫২ হাজার ৪১ কোটি টাকার বীমা দাবির বিপরীতে ৪০ হাজার ৮১৬ কোটি টাকার বীমা দাবি নিষ্পত্তি করা হয়, যা বীমা দাবির ৭৮ শতাংশ। যেখানে পাশের দেশ ভারতেও তাদের মিডিয়ার তথ্যানুসারে ২০২০-২১ সালে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিসমূহের বীমা দাবি নিষ্পত্তির পরিমাণ ৯৮ দশমিক ৩ থেকে ৯৯ দশমিক ৩ শতাংশ।

মার্চ ০১, ২০২৪ দেশ রূপান্তর পত্রিকায় “জিডিপিতে বীমার অবদান কমছে পুরো বিশ্বেই” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বর্তমানে দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) বীমা খাতের অবদান শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ, যেখানে বিশ্বে গড় হচ্ছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

সরকার দেশের শতভাগ জীবন ও সম্পদ বীমার আওতায় আনার লক্ষ্যে সরকার জাতীয় বীমানীতি ২০১৪ গ্রহণ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে ২০২১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান ৪ শতাংশ করতে হবে, যা এখনো বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। বরং করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতিতে উল্টো চিত্র দেখা গেছে। অবশ্য জিডিপিতে বীমার অবদান শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেরই কমেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণেই এ খাতের অবদান কমছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ব জিডিপিতে বীমার অবদান ২০২০ সালে ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা দুই বছর ধরেই কমছে। জিডিপিতে বীমার সবচেয়ে বেশি অবদান যুক্তরাষ্ট্রের, ২০২২ সালে এ দেশটির জিডিপিতে বীমার অবদান ছিল ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২০ সালে এটি ছিল ১২ শতাংশ। আলোচিত সময়ে সবচেয়ে কমেছে তাইওয়ানের। ২০২০ সালে দেশটির জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ১১ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসে। ২০২০ সালে চীনের জিডিপিতে বীমার অবদান ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান ৪ শতাংশ, এটি ২০২০ সালে ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

জাতীয় বীমা নীতির ২০২৩ এর খসড়ায় বলা হয়েছে; যে দেশর বীমা খাত যত শক্তিশালী সেদেশের অর্থনীতি তত শক্তিশালী। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে, যেখানে ইন্স্যুরেন্স গ্যারান্টিকে বিবেচনায় নেয়া হয় সেখানে আমাদের দেশে ব্যাংক গ্যারান্টি দেয়া হয়। বীমার প্রসার ঘটানোর জন্য আমাদের দেশেও এই নীতিটি গ্রহন করা যেতে পারে। এছাড়া বীমার ক্ষেত্রে যে ভাবমূর্তি সংকট বিদ্যমান আছে তা দূর করতে এবং একই সাথে গ্রাহকদের আস্থা বৃদ্ধিতে নতুন দিক নির্দেশনা ও কর্মকৌশল প্রয়োজন। বীমা শিল্পে কর্মরত জনগোষ্ঠীকে পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।

বাংলাদেশে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ায় চলার পথে অন্যতম খাত হিসেবে বীমাকে আরও আধুনিক, যুগোপযোগী গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবে বীমা খাত। আমাদের উন্নয়নের অংশীদার বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের আর্থিক ও প্রযুক্তি নির্ভর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বীমা শিল্প বিকাশের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমান বীমা নীতিতে বিদ্যমান অসামঞ্জস্যতা দূর করার জন্য বিভিন্ন সময় অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় করে প্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য সংশোধনীসমূহ সংযোজনের মাধ্যমে বীমা নীতি- কে একটি গতিশীল এবং গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নেয়ার প্রয়াসে নতুন বীমা নীতি প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়।

অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধারের একমাত্র উপায় বীমা। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অনেকাংশে অনুপস্থিত এবং তা দুর্বল বীমা সুরক্ষা ব্যবস্থার কারণেই। সরকার এবং বীমা কোম্পানির মধ্যে স্মার্ট পদ্ধতির সমন্বয়ে বাংলাদেশ তার নাগরিক, অর্থনীতি, সমাজ ও সরকারের বীমা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। বীমা কোম্পানিগুলো এখন ডিজিটালাইজেশনের সহায়তায় এর প্রবৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট সুযোগের পূর্বাভাস দেয় এবং জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। আমরা উপলব্ধি করতে পারি, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আমাদের দেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।

বর্তমানে সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির দিকে মনোনিবেশ করছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। স্মার্ট পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নতুন প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উন্নতি এবং উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী এবং সীমিত সম্পদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতির জন্য বীমা সুরক্ষার পাশাপাশি সুরক্ষা বহর নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ তার জনগণ এবং অবকাঠামোর জন্য বীমা সুরক্ষায় বিনিয়োগ করে বিশ্বের দরবারে একটি উদীয়মান দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।

প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই তাদের পরিকল্পনা মাফিক চলে। পরিকল্পনার কারণে কাজ অনেকটা সহজ হয় এবং চলার পথে কখনো কখনো প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে পরিকল্পনার অবস্থানগত ও সিদ্ধান্তগত পরির্বতন আনা সহজ হয়। সংগঠনের ভিতর কর্মরত কর্মীদের দ্বারাই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয়। তাই সাংগাঠনিক অবস্থান দৃঢ় করার জন্য কর্মীদের ট্রেনিং, প্রেষনা, যোগ্য লোকের মূল্যায়ন, মোটিভেশন ইত্যাদি পরিকল্পনায় সন্নিবেশিত থাকতে হবে।

কাজ এবং কাজের পারিশ্রমিক, কর্মীদের কাজে উদ্বুদ্ধকরণ এবং ব্যবস্থাপনার সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণ কোম্পানির সুনাম এবং উত্তোরত্তোর উন্নতির সোপান। অতএব, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ণে বীমা শিল্পের সীমাহীন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।