কেশবপুরে বেওয়ারিশ কুকুরের কামরে আহত অর্ধশতাধিক

উজ্জ্বল অধিকারী, কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুরে গত কয়েক দিনে কুকুরের কামড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন অর্ধশর্তাধিক মানুষ। শিশুরা কুকুরের নৃসংশতার শিকার হওয়ায় উপজেলা ব্যাপী আতঙ্ক বিরাজ করছে। হঠাৎ কুকুরের আক্রমন বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শিশুরা কুকুরের কামড়ে রক্তাক্ত জখম হওয়ায় অভিভাকরাও উদ্বিগ্ন সময় পার করছেন। কুকুরের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্কুলগামী ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে অভিভাকরাও হাতে লাঠি নিয়ে যাতায়াত করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আক্রান্ত শিশুদের ভেতর ৫ জনের অবস্থা গুরুত্বর।

উপজেলাব্যাপী বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে মানুষ ছাড়াও গরু-ছাগল আহত হচ্ছে। তাছাড়া হাঁস-মুরগী ধরে খেয়ে ফেলছে।

কেশবপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড শান্তিপাড়া মাছবাজার এলাকার বাসিন্দা মোরশেদ আলম দৈনিক এই আমার দেশকে জানান, এমনিতেই কুকুর ভয় পান তিনি। তার উপর তার বাসার গলিতে ১৫-২০টি কুকুর সারাক্ষণই থাকে।বাজার করে ফিরার সময় হাতে ব্যাগ থাকলে এই কুকুরগুলো প্রায়ই পিছু নেয়। বাজারের ব্যাগগুলো ধরার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর বাসায় ঢোকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি চলতি ভ্যান বা যানবাহনেও কুকুর লাফিয়ে উঠে পড়ে বলে জানান মোরশেদ আলম।
কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, ক্ষিপ্ত কুকুরের ভয়ে গ্রামের শিশু ও নারীরা বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। এলাকায় কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, কুকুর বিভিন্ন ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণির উপর আক্রমন করে। তাছাড়া প্রজনন সময়ে কুকুর বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। কুকুর জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিনের ভেতর মারা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, কুকুর বা অন্যান্য প্রাণীর কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে আসা রোগিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে জলাতঙ্ক প্রতিশেধকের অভাব নেই। কুকুরের কামড়ে শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।