রাজিব আহমেদ: মানুষ মূলত তিন ধরনের খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে- গুরুত্ব অনুসারে এগুলো যথাক্রমে বায়ু (অক্সিজেন), তরল (পানি ও অন্যান্য) এবং কঠিন (শক্ত খাবার)। প্রত্যেক ধরনের খাবার গ্রহণের প্রচলিত ভুল ও সঠিক নিয়মগুলো হলো : ১. ক্ষুধা না লাগলে খাবেন না আর কিছুটা ক্ষুধা অবশিষ্ট থাকতেই খাদ্যগ্রহণ শেষ করতে হবে। ২. যখনই খাবেন, পাকস্থলির এক-তৃতীয়াংশ পানি, এক-তৃতীয়াংশ শক্ত খাবার আর এক-তৃতীয়াংশ খালি রাখবেন। ৩. খাবার ধীরে-সুস্থে ভালো করে চিবিয়ে (কমপক্ষে ১৬ বার) খেতে হবে।
স্রেফ অজ্ঞতার কারণে আমরা ন্যূনতম (মাত্র ৩০%) বাতাস নিয়ে বেঁচে থাকি। কিন্তু সঠিক নিয়মে পর্যাপ্ত বাতাস গ্রহণ ও সঠিক নিয়মে পানি পান করলে জীবনভর সুস্থ থাকা সম্ভব। প্রতিদিন সামান্য কালোজিরা, মধু, আদার রস ও কাঁচা ছোলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
শক্ত খাবারের সঙ্গে পানি একত্রে পান করবেন না। পানি সব সময় পান করতে হবে বসে, দুই হাতে পানির পাত্র ধরে আর কমপক্ষে তিন ঢোকে (অবশ্যই খাবার গ্রহণের ১০ মিনিট আগে এবং ৩০ মিনিট পরে)। ঠান্ডা পানি আর কোমল পানীয় বর্জন করতে হবে।
লাল মাংস এড়িয়ে টাটকা শাকসবজি, কাঁচা সালাদ ও তাজা ফলমূল বেশি পরিমাণে খেতে হবে। সর্বোপরি মুখে যে খাবারটি বেশি মজা লাগে, সেটিই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক বিধায় কম পরিমাণে খাবেন!
সুস্বাস্থ্যের সপক্ষে আমার সামাজিক আন্দোলন প্রচলিত চিকিৎসা-ব্যবস্থার বিরুদ্ধচারণ নয়, বরং সঠিক ও আদর্শ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে এমন পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা যাতে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনই আর না হয়।
বাড়তি তেল আর চিনিবিহীন খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলে আমার নিজের পরিবার এখন পুরোপুরি ওষুধ-মুক্ত। আপনারাও চাইলে সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চলে একই কাতারে শামিল হতে পারেন।