গাংনীতে ইউপি মেম্বরের বিরুদ্ধে পরিষদের ভবন দখলের অভিযোগ

স্বপন আলী, গাংনী প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনীতে ইউপি মেম্বরের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের পুরাতন ভবন দখলের অভিযোগ। উপজেলার ৩ নং কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নওদাপাড়া ৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বর মহন আলীর বিরুদ্ধে পরিষদের পুরাতন বিল্ডিং ও জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান আলম হুসাইন কিছুই জানেন না বলে জানান। সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, কাজীপুর ইউপির অন্তর্গত নওদাপাড়া বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন কাউন্সিলের পুরাতন ভবন করে দীর্ঘদিন যাবৎ নওদাপাড়া গ্রামের ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা (গ্রামের যাকে কুদ্দুস চোর বলেই জানে) বর্তমানে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস (৫১) ক্ষমতার দাপটে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে দেখে নেয়া হুমকি দেখিয়ে থাকেন। ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনে বর্তমানে রড সিমেন্ট রাখা হয়। গোপন সূত্রে জানা গেছে, হার্ডওয়ার ব্যবসার আড়ালে কুদ্দুস মাদক ব্যবসা করে থাকেন। ঐ ভবনে তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের আস্তানা গড়ে তুলেছেন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে তিনি বিল্ডিং জবর দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে মাদকব্যবসা, চুরি ডাকাতি, নারী কেলেংকারীসহ একাধিক হত্যাকান্ড ঘটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার কারনে আব্দুস কুদ্দুস বিদেশে দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিল।
একই ভাবে নওদাপাড়া গ্রামের বর্তমান মেম্বর মহন আলী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পরিষদে জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে। সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করা দন্ডনীয় অপরাধ। এব্যাপারে তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি। বরং দম্ভোক্তি করে বলেন, আমার ক্ষমতাবলে জায়গা দখল করে ঘর করেছি।এখানে আমি নির্বাচনী অফিস করি বন্ধুদের নিয়ে সময় অসময়ে বসে থাকি।
সাংবাদিকরা আমার সম্পর্কে যা পারে তাই লিখুক। আমি তোয়াক্কা করি না।অন্যদিকে হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী কুদ্দুস জানান, আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়ে মাসে ৫ শ’ টাকা ভাড়া চুক্তিতে পুরাতন বিলিডং ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছি। ঘরটি পড়ে রয়েছে তাই রক্ষণাবেক্ষনের জন্য আমি ব্যবহার করছি। তিনি প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি জায়গা ছেড়ে দেব। তবে নওদাপাড়া বাজারে এলজিইডি, কৃষি অফিসও ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল করে অনেকেই দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছে। ঐ দোকান গুলো উচ্ছেদ করা হলে আমিও জায়গা ছেড়ে দেব।
এনিয়ে কাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলম হুসাইন এই আমার দেশকে জানান, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমার সাথে কোন চুক্তি হয়নি। আমার পরিষদকে কোন ভাড়াও দেয় না।