চিৎলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকায় বিএনপির বাতেন !!!

নিজস্ব প্রতিবেদক
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থীকে নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রচন্ড অসন্তোষ। আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতাশ।

চিৎলা ইউনিয়ন যুবলীগের ফেসবুক পেজে এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পাওয়া আব্দুল বাতেনের ছবি দিয়ে পোষ্টে বলা হয়েছে, ইনি সেই নেতা যিনি- সারা জীবন বিএনপি করলেও আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।

শুধু তাই নয় এলাকার স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের বীর মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা বা সারা জীবন আওয়ামিলীগের সাথে থাকা পরিবারগুলো তাকে স্বাধীনতা বিরোধী বা অনুপ্রবেশকারী হিসাবে প্রত্যাখান করলেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে চমক সৃষ্টি করে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের নৌকার মাঝি হয়েছেন এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। যুবলীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারা যায় এমন নেতাকে।

ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ সহ ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের পরিবারের লোকেরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বলছেন, লাভ কি? কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাচন সিলেকশন বোর্ড যদি চাই রাজাকারের ছেলেই হবে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়ন নৌকার মাঝি আর চেয়ারম্যান। তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক ছাত্র এবং যুবনেতা- যিনি ছাত্রজীবনেই বৃহত্তর খাদিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে খাদিমপুর ইউনিয়ন দুই ভাগ হলে তিনি পর পর দুবার নবগঠিত চিৎলা ইউনিয়নেরও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর বিগত উপজেলা নির্বাচনে আলমডাঙ্গা থেকে শেখ হাসিনার ভালবাসায় নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সরাসরি বিরোধীতার কারণে সে নির্বাচনে সামান্য ভোটে পরাজিত হন। তিনিও এবার ছিলেন এই চিৎলা ইউনিয়নের প্রার্থী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি সুত্র জানিয়েছে, এই যুবনেতা জিল্লুর রহমানের নামটি জেলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রে পাঠাননি। সুতরাং খুব সহজেই নৌকায় উঠলেন একই বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী কথিত স্বাধীনতা বিরোধীর পুত্র আব্দুল বাতেন।