চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি বিশিষ্টজনদের

বেল্লাল হোসেন নাঈম, স্টাফ রিপোর্টারঃ শারদীয় দুর্গোৎসবে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন বিশিষ্ট জনরা।

একই সঙ্গে হামলাকারীদের দ্রুত চিহিৃত করে তাদের প্রতিহত করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান ও জনানো হয়।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে চৌমুহনী ব্যাংক রোডে শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দির মিলনায়তনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সম্প্রীতি রক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বক্তরা এ সব কথা বলেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি বিমলেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে ও আবুল ফারাহ পলাশের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি নোয়াখালীর কৃতি সন্তান গোলাম কুদ্দুছ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৩ বেগমগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আল হাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরন, নাট্যকার নাসির উদ্দিন ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিদুল হক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ড. ফৌজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মালেকা বানু, আহমেদ গিয়াস, মানজার চৌধুরী প্রমূখ।
এতে বক্তব্য রাখেন এ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহা, এ্যাডভোকেট রতন লাল সাহা, মিথুন ভট্ট, এ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশর।

বক্তরা বলেন বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন সব ধর্মের লোকদের স্বাধীন ভাবে এদেশে বসবাস করার জন্য। চৌমুহনীতে যে বর্বরতার ঘটনা ঘটেছে তা দেখার জন্য আমরা এদেশ স্বাধীন করিনি। চৌমুহনীতে দাঙ্গায় দুই জন নিহত ও ঘরবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্টান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা অগ্নি সংযোগের পর অনেক হিন্দু পরিবার এদেশে না থাকার কথা জানিয়েছেন। একথা শুনার জন্য তো বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেন নি। এসরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক উন্নয়ন হয়নি। হামলার ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখে তাদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচার করতে হবে। এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তারা।