ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছে!! কেমন অবস্থান হচ্ছে মামুন, রাশেদ, ফারুক, নূরের ?

২০১৮ সালের কোঠা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। গত ৩ বছর সংগঠন টি পরিচালিত হয়েছে আহ্বায়ক কমিটি দ্বারা। শুরুর দিকে সংগঠনের প্রধান নেতা ছিলেন হাসান আল মামুন, পরে বিভিন্ন ঘটনার পরে নেতৃত্বে আসে রাশেদ খান। গত ২৮ আগস্ট সংগঠনটির প্রথম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় যেখানে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোল্ল্যা রহমাতুল্লাহ। সংগঠনটি শুরুর দিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় থাকলেও ধীরেধীরে জন সাধারণের মাঝেও গ্রহণযোগ্যাতা লাভ করে। এবং এই সংগঠন কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে আরো দুইটি সংগঠন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ। আরিফ আদিবের স্কুল ঝাঁলুকাঠি কামিল মাদ্রাসা, কলেজ বাগি আলামিন কামিল মাদ্রাসা। বাবা পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক। সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার প্রতিক্রায় তিনি বলেন রাজ পথ থেকে গঠে উঠা সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদ। বর্তমানে সংগঠনের দায়িত্বশীল হিসাবে আমরা আগামীদিনে ছাত্রদের নায্য অধিকার সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে। আন্দোলনে সরব থাকব।

এদিকে দেশব্যাপী সংগঠনটি পরিচিতি পাওয়ার পেছনে যার ভূমিকা মূখ্য তিনি ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর। এবং রাশেদ, মামুন, ফারুক সংগঠনের প্রভাবশালী নেতারা আছেন সংগঠনটির উপদেষ্টা হিসাবে। কিন্তু প্রথম কাউন্সিলের পরেই পরিচিত অনেকের মধ্যেই একধরণের ক্ষোভ লক্ষ করা যায়। একটি ফেসবুক পোস্টে মশিউর রহমান সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় কমটি ছাত্রঅধিকার পরিষদ লিখেছেন “মানসম্মান থাকতে থাকতে নিজেকে সকল কিছু থেকে গুটিয়ে নেওয়াই উত্তম!!” এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে মুঠো ফোনে বার বার রাশেদ ও ভিপি নূরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয় নি।