জিন্নাহসহ অন্যান্যদের কবরেও বাংলা ভাষায় খোদাই করা লেখা রয়েছে

রাজিব আহমেদঃ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কী ঘটেছিল এবং কেন ঘটেছিল (এর প্রেক্ষাপট তথা সূত্রপাত কেমন করে এবং শেষ পরিণতি যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ) সেসব ইতিহাস আমরা সবাই কম-বেশি জানি। কিন্তু যেটা অনেকেই জানি না, তাহলো বাহান্ন’র ভাষা আন্দেলনে শহীদদের রক্তদান সফল হয়েছিল। তৎকালীন ক্ষমতাসীন পাকিস্তানি সরকার উর্দু’র পাশাপাশি বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে বাধ্য হয়েছিল। ফলস্বরূপ উভয় (পূর্ব ও পশ্চিম) পাকিস্তানের সকল রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় উর্দু’র পাশাপাশি বাংলা লেখা বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।

পরের ইতিহাস আরো চমকপ্রদ। যে বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করে জিন্নাহ এককভাবে উর্দুকে আমাদের ওপরে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল, সেই বাংলাই জিন্নাহ্’র মৃত্যুর পরে তাঁর কবরে চেপে বসেছে!!! শুধু মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ নয়,

তাঁর ছোট বোন ফাতেমা জিন্নাহ, তাঁর ডান হাত বা ‘কায়েদে মিল্লাত’ খ্যাত পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান, পাকিস্তানের আরেক প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন, ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর পাকিস্তানের যোগাযোগমন্ত্রী সরদার আবদুর রব নিশতার-এর কবরেও তাঁদের নাম, জন্ম ও মৃত্যুর তারিখগুলো রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে উর্দু’র পাশাপাশি বাংলা বর্ণমালায় খোদাই করে লেখা রয়েছে

(কেননা তাঁদের মৃত্যুকালীন উর্দু ও বাংলা যৌথভাবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় আসীন ছিল), যদিও এঁদের প্রত্যেকেই বাংলাকে তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন।

প্রকৃতির বিচার এমনই- যে যা ভুল করবেন, তার খেসারত তাকেই দিতে হয়।

সুত্রঃ রাজিব আহমেদ এর ফেইসবুক আইডি থেকে এবং ছবিগুলো তানভীর এর সৌজন্যে সংগৃহীত