জুনায়েদ ২৪টি ও শফি চৌধুরী ৯টি কেন্দ্রে কোনো ভোটই পাননি

সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১৪৯টি। এর মধ্যে ১৩৮টি কেন্দ্রেই জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান। বাকি ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ৯টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী ২টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছেন। অপর প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া কোনো কেন্দ্রেই জয় পাননি। এদিকে জুনায়েদ ২৪টি ও শফি চৌধুরী ৯টি কেন্দ্রে কোনো ভোটই পাননি।

উপনির্বাচনে কেন্দ্রওয়ারি ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ফলাফল ঘেঁটে আরও দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভোটের সংখ্যায় কেবল একটি কেন্দ্রেই দুই অঙ্কের কোঠা পেরোতে পারেননি। দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের রেবতী রমণ দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয় (দক্ষিণ-উত্তরাংশ) নামের ওই কেন্দ্রে হাবিবুর পেয়েছেন ৯৯ ভোট। এখানে জয় পেয়েছেন আতিকুর রহমান। তবে জাতীয় পার্টির আতিকুর ভোটের হিসাবে দুই অঙ্কের কোঠা পেরোতে পারেননি ৬৮টি কেন্দ্রে।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সরবরাহকৃত ভোট গণনার ফলাফলের একীভূত বিবরণী থেকে জানা গেছে, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ৩টি কেন্দ্রে এক অঙ্কের কোঠা পেরোতে পারেননি। তিনি জালালীয়া (২) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২টি, চান্দাইরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬টি ও মাকড়সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মাত্র ৭টি ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে নেমে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্যপদ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী ৯টি কেন্দ্রে কোনো ভোটই পাননি। এ ছাড়া তিনি ৮টি কেন্দ্রে মাত্র ১টি করে ভোট পেয়েছেন। একইভাবে জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ২৪টি কেন্দ্রে কোনো ভোট পাননি। জুনায়েদ ১টি করে ভোট পেয়েছেন ২৫টি কেন্দ্রে।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ২ হাজার ১৮ জন। তবে ভোট দিয়েছেন মাত্র ২৩৮ জন। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে হাবিবুর পেয়েছেন ২২৪টি ভোট। এ ছাড়া আতিকুর ১৩টি ও শফি পেয়েছেন ১টি ভোট। তবে জুনায়েদ এখানে কোনো ভোট পাননি। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে মণিপুর চা-বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এখানে মোট ভোট পড়েছে ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এ কেন্দ্রের মোট ভোটার ১ হাজার ৯৬৯ জন। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে হাবিবুর একাই পেয়েছেন ১ হাজার ২৪৮টি। এ ছাড়া আতিকুর ১৫টি ও শফি ৪টি ভোট পেয়েছেন। এই কেন্দ্রে জুনায়েদ কোনো ভোট পাননি।