দুবাইতে বাংলাদেশ থেকে দেহ ব্যবসার কাজে নারী পাচারকারী চক্রের অন্যতম মাফিয়া ডন রুবেল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পুরো নাম ইলিয়াস হোসেন রুবেল। রাজধানী ঢাকার ফকিরাপুলের পানির ট্যাংকির বিপরীত পার্শ্বে ১৪৪ আলাউদ্দিন ম্যানসন (ডি আই টি এক্সটেনশন রোড) পাঁচ তলায় অফিস ইলিয়াস রুবেলের। এই অফিসেই বসে চলে তার নারী পাচার করার সকল পক্রিয়া। তার অধীনে কাজ করে কিছু দালাল চক্র (সাব এজেন্ট)।

এসব দালাল চক্ররা অসহায় নারীদেরকে দুবাইতে উচ্চ বেতনে চাকরি ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসেন এই অফিসে; এরপর ইলিয়াস হোসেন রুবেল এসব নারীদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দুবাইয়ের বিভিন্ন বিউটি পার্লার ও ম্যাসেজ সেন্টারে কাজের কথা বলে রাজি করে নেন। এক্ষেত্রে একেকজন নারীকে ৫০০০০ টাকা বেতন ও টিপসের সকল টাকা মেয়েরা পাবে বলে কমিটমেন্ট করেন। এরপর শুরু হয় দুবাইয়ের ভিজিট ভিসা করার যাবতীয় প্রক্রিয়া।

ভিসা, টিকেট, ঢাকা এয়ারপোর্ট কন্টাক্ট সবই এই ইলিয়াস হোসেন রুবেল সম্পাদন করে থাকেন।মেয়েদের এক টাকাও খরচ নেই। এমনকি একেকটা মেয়ে নিয়ে আসার জন্য দালাল (সাব এজেন্ট) কে ইলিয়াস হোসেন রুবেল ৩০০০০ থেকে ৪০০০০ টাকা প্রদান করেন।

ইলিয়াস হোসেন রুবেলের এই অপকর্মের আরেক হোতা হলো আলমগীর সেলিম ওরপে লাল সেলিম। আলমগীরের বাড়ি চট্টগ্রাম ; সম্পর্কে রুবেলের আত্নীয় তিনি। তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন দুবাইয়ের সেক্টর।ঢাকা থেকে মেয়েরা দুবাই যাওয়ার পর দুবাইতে রিসিভড করেন আলমগীর সেলিম ওরপে লাল সেলিম।

অতঃপর শুরু হয় মেয়েদেরকে দেহ ব্যাবসার কাজে নামানোর প্রক্রিয়া। পরবর্তীতে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও ফ্ল্যাটে যারা দেহ ব্যবসা করেন তাদের সাথে কন্টাক্ট করে এক পর্যায়ে এসব মেয়েদেরকে বিক্রি করে দেওয়া হয় এবং দেহ ব্যবসা করার কাজে বাধ্য করা হয়। রাজি না হলে চলে নির্যাতনের স্টিম রোলার ও দেশে থাকা পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ না করার প্রক্রিয়া।

একেকটা মেয়ে বিক্রি করা হয় ৮০০০০০ টাকা থেকে ১০০০০০০ টাকা পর্যন্ত। এই টাকার একটা অংশ চলে আসে ইলিয়াস হোসেন রুবেলের কাছে।ভিজিট, ভিসা, টিকেট এয়ারপোর্ট কন্টাক্ট ও দালাল, সাব এজেন্টকে টাকা দেওয়াসহ সব খরচ বাদ দিয়ে ইলিয়াস হোসেন রুবেল দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন।