দেড় বছর পর খুললো স্কুল-কলেজ 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তবে একই সঙ্গে করোনার সংক্রমণ ফের বাড়ার শঙ্কায় তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও রয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মহামারি পরিস্থিতি অনুকূলে না আসায় দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২৬ আগস্ট এক ঘোষণায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গতকাল সেই ছুটি শেষ হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণের ভীতিও আছে অভিভাবকদের মনে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবারো বন্ধ করে দেওয়ার হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি।

দেড় বছর ধরে ঘরে বসে থাকা শিক্ষর্থীদের জন্য অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা থাকলেও এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তায় ছিল। গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থদের এসএসসি ও জেএসসির ফলাফলের গড় করে মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়।

তার ভিত্তিতেই তাদের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও আগের রোলে পরের ক্লাসে তুলে দেওয়া হয়। তবে আগের ঘোষণা অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে। অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও শুরুতে একসঙ্গে সব শ্রেণির ক্লাস হবে না। ধাপে ধাপে বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাস হবে। প্রথমে চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী বং আগামী বছরের পরীক্ষার্থীরা প্রতিদিনই ক্লাস করবে। বাকি শ্রেণির ক্লাস শুরুতে সপ্তাহে এক দিন করে হতে পারে। পরে পরিস্থিতি বুঝে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা হবে। একইসঙ্গে অনলাইন ও টেলিভিশনের ক্লাস চলমান থাকবে।

যেভাবে ক্লাস হবে প্রাথমিকে

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি পাঠদান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর তুলনায় শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা কম হলে দ্বিতীয় শিফটে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। দ্বিতীয় শিফট একইভাবে দুপুরের পর শুরু করা যাবে।