নরসিংদীর রায়পুরায় কাঁকরোল মণপ্রতি ১৫০ টাকা

হারুনুর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদী জেলার রায়পুরার কাঁকরোলের দাম কমে যাওয়ায় চরম বিপাকে চাষীরা। এ অঞ্চল সবজি ভান্ডার খ্যাত। উপজেলার উৎপাদিত সবজি বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে । জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় চাহিদা পূরণে সরবরাহ হয়ে থাকে।

অব্যাহত লকডাউনে সবজির চাহিদা কমে যাওয়ায়। ফলে খুব কম দামেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদিত কাঁকরোল জাতীয় সবজি। লকডাউনের কারনে এবং যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ায় নরসিংদী থেকে সবজি এখন বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ খুব কম। ফলে স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন বেচা-কেনা হচ্ছে অনেক কম দামে।

রোববার উপজেলার পাইকারি হাটবাজার রাধাগন্জ ও জঙ্গি শিবপুর বাজার গুরে দেখা যায়, মণ প্রতি কাঁকরোল ১শ ৩০ থেকে ১শ ৬০ টাকায় বিক্রি করতে। সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। বাজার দর কম হওয়ার পরও তারা আরও কম দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য করছে স্থানীয় কৃষকদেরকে। রাধাগন্জ এলাকার আঃ আউয়াল নামে এক কৃষক জানান, লকডাউনের মধ্যে এখানকার উৎপাদিত সবজি পাইকারদের মাধ্যমে রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হতো। প্রতি হাটবার বাজার থেকে সারাদেশে ট্রাকযোগে সবজি সরবরাহ হতো। কিন্তুু লকডাউনের কারনে এখন পাইকাররা সবজি নিতে আসছে না। ফলে পাইকারী সবজি বাজার এখন ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়েই কম দামে কাঁকরোল বিক্রি করতে হচ্ছে ।

কামাল মিয়া নামে অপর এক কৃষক জানায়, সরকার কর্তৃক কৃষকদেরকে প্রনোদনা না দিলে আগামীতে কেউ সবজি আবাদ করতে পারবে না। এবছর যারা সবজি আবাদ করেছে প্রত্যেক কৃষকই লোকসান গুনতে হয়েছে। আমাদের অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে আতংক বিরাজ করছে।
পাইকার মজনু মিয়া বলেন, গেলো ঈদ ও লকডাউনে বাজার গুলো ক্রেতা শুন্য তাই নিয়েই বা কি করবো। কাঁকরোলের চাহিদাও কম। বিক্রি না করতে পারলে নিয়ে কি লাভ। পরিবহন ভাড়া বেশি।

স্থানীয় কৃষক আঃ মালেক,শেমল,কাওছারের মত সবার দাবি সরকার যেন লকডাউন বিবেচনায় তাদের প্রনোদনার আওতায় নিয়ে আসেন এমনটাই প্রত্যাশা কৃষকদের। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, কৃষকের প্রান চাঞ্চল্য পেতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে পারে সরকার। অন্যথায় সবজি আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে কৃষকরা এমনটিই আশংকা করছেন ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় কাঁকরোল চাষ হ’য়ে ৮ শ ২২ হেক্টর জমিতে। যা ৫ থেকে ৬ মাস ফল দিতে সক্ষম।