নোয়াখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক যুবককে কুপিয়ে আহত, প্রধান আসামিকে জেলে প্রেরণ

বদিউজ্জামান তুহিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী গ্রামের আবদুল মান্নান সুকানীর বাড়ির মৃত মোহাম্মদ মোস্তাফার ছেলে আলা উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে একই বাড়ির ভূমিগ্রাসী ও সন্ত্রাসী আবদুল্যাহ দুলালের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গত বৃহস্পতিবার সকালে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। মারাত্মক আহত অবস্থায় আলা উদ্দিনকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করানো হয়েছে।

এ ঘটনায় আলাউদ্দিন বাদি হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গতকাল রবিবার আসামিরা আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত প্রধান আসামি আবদুল্যাহ দুলালকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চর হাজারী গ্রামের আবদুল মান্নান সুকানীর বাড়ির মৃত মোহাম্মদ মোস্তাফার ছেলে আলা উদ্দিনের সাথে দীর্ঘ দিন থেকে একই বাড়ির আবদুল্যাল দুলালগংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় বহু শালিস-দরবার হলেও আবদুল্যাল দুলালগং শালিস না মানায় তা সমাধান হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার সকালে আলা উদ্দিন তাদের পারিবারিক কবরস্থানে গাছ কাটতে গেলে সন্ত্রাসী দুলাল (৫০), ফাহিম (২১), কিশোরগ্যাং সদস্য ইমরান হোসেন (২৩) সামি (১৮) মিজান উদ্দিন লাট্টু (২৭), নুর আলম ও নুরুজ্জামান একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, লোহার রড ও লাঠি-সোটা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এসময় সন্ত্রাসীরা আলা উদ্দিনের সাথে থাকা নগদ অর্থ ও ৭০ হাজার টাকা দামের আইফোন নিয়ে যায়।শৌর-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে হত্যারও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, গত বৃহস্পতিবার আলা উদ্দিন বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আলোকে আমরা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেছি। পলাতক থাকায় আসামিদের গ্রেফতার করতে পারি নি। জেল হাজতে প্রেরণের বিষয়ে তিনি এখনো কোন তথ্য পাননি বলে জানান।