পরিবারের ফেলে যাওয়া বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করল ঝিনাইদহের পুলিশ

এসএম আনিসুর রহমান খোকা, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
করোনাকালে অনেক মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে পুলিশ। তেমনি স্বার্থপরতার অনেক দৃষ্টান্তও পত্র পত্রিকায় আসছে। এবার ঝিনাইদহে ফেলে যাওয়া মানসিক রোগী এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করল পুলিশ।ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ ইন্সপেক্টর এমদাদুল হক এই উদ্যোগ নেন।

জানা গেছে, ৪-৫ দিন আগে স্বজনদের ফেলে যাওয়া ৫৬ বছর বয়েসি এক অসুস্থ ও মানসিক বৈকল্যসম্পন্ন শোভা বিশ্বাসকে উদ্ধার করে বুধবার রাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন সদর থাানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত এমদাদুল হক। ওই নারী এখন হাসপাতালের মহিলা (মেডিসিন) ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসাদানকারি ব্যক্তিদের সাথে কিছুটা স্বাভাবিক কথাবার্তা বললেও তিনি খুুুুবই দুর্বল এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন।

সদর থাানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত ) এমদাদুল হক জানান, লোকমুখে খবর পেয়ে তিনি শহরের ভুটিয়ারগাতি এলাকার মাহমুদ হাসান আলিফ নামের এক ব্যবসায়ীর নির্মাণাধিন ছয়তলা একটি বাড়ির নিচ থেকে সংজ্ঞাহীন ওই নারিকে উদ্ধার করেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহয়োগিতায় তিনি শোভা বিশ্বাসকে বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

আলিফ জানান, খবর পেয়ে নির্মাণাধীন ওই বাড়িতে এলে প্রতিবেশিরা তাকে জানিয়েছেন ৪-৫দিন আগে কে বা কারা এসে তাকে ওখানে রেখে গেছেন। সেই থেকে কেউ তাকে খাবার দেয়নি, খোজ করেনি। ঝিনাইদহ সদর হাসাপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক (ইএমও) ডা. নূরজাহান বেগম জানিয়েছেন ভর্তির সময় তিনি এতটাই দুর্বল ছিলেন যে তেমন কিছুই বলতে পারছিলেন না। বেশ কিছুদিন অনাহারে থাকা এবং কিছুটা মানসিক সমস্যাক্রান্ত শোভা বিশ্বাস এখন কথা বলছেন, অস্পষ্ট গলায় অবিবাহিত ওই নারি তার বাবার নাম তারক চান্দ্র দাস এবং বাড়ি রামপালের গিলেতলা বলে উল্লেখ করছেন।