পাকুন্দিয়ায় নব গঠিত আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

সৈয়দুর রহমান সৈয়দ, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা কর্মিরা।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৫ ঘটিকার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু সমর্থক নেতা-কর্মীরা এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল এসে ঈদগাহ মাঠে এসে জড়ো হয়।
পরে একটি মিছিল উপজেলা ঈদগাহ গেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে পৌর সদর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয় এবং সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সস্পাদক মোঃ সিদ্দিক হোসেন মাসুদের সভাপতিত্বে, জেলা পরিষদের সদস্য, সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি সদস্য হাদিউল ইসলাম হাদির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু। সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম আকন্দ উদ্দিন প্রমুখ।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, বিতর্কিত ব্যক্তিকে আহ্বায়ক করে এবং বিএনপি-জামায়াতের লোকদের নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা এই বিতর্কিত কমিটি মানেন না। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করতে জেলা নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

নবগঠিত এই আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয় ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়। কমিটিতে মো. রফিকুল ইসলামকে ১ নম্বর সদস্য রাখা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দিন রাতেই ফেসবুকে কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

এর ধারাবাহিকতায় রফিকুল ইসলাম ১৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আহমদ উল্লাহর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। আহ্বায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেও রফিকুল ইসলাম পদত্যাগপত্রে লেখেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে যাব।’

এ বিষয়ে নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সোহরাব উদ্দিন বলেন, কমিটিতে কোনো বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতা নেই। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে তো আর সবাইকে রাখা যাবে না। এতে সন্তোষ–অসন্তোষ থাকতেই পারে। তবে সবাইকে নিয়ে তিনি দলকে সুসংগঠিত করার কাজ করে যাবেন।