পুনরায় আশার আলো দেখছেন তেল ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ এক বছর (বারো মাসের) অধিক সময় পরে অবশেষে করোনাপূর্ব অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম। মহামারি করোনাত মধ্যে গতবছর এটি নেমে গিয়েছিল ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে। তবে সেখান থেকে ধীরে ধীরে আবারো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে তেলের দাম।

অপ্রিয় হলেও সত্য যে, তেলের চাহিদা এখনো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক দূরে। কিন্তু করোনার টিকাদান শুরু হয়ে যাওয়ায় সেটি দ্রুতই করোনাপূর্ব অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সচরাচর অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ব্যারোমিটারের হিসেবে দেখা হয় তেলের দামকে। কিন্তু করোনার কারণে এক বছর যাবত এর অবস্থা ছিল বেশ নাজুক।

বর্তমানে একটু একটু করে চাহিদাবৃদ্ধির কারণে গত কয়েক মাসে তেলের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। আর চলতি সপ্তাহে এর দাম উঠেছে প্রতি ব্যারেল ৬০ মার্কিন ডলারে। যা সবশেষ করোনা আসার পূর্বে দেখা গিয়েছিল।

তেলবাজারের প্রধান বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড ভবিষ্যৎ চুক্তিতে শক্ত অবস্থানে ফিরে এসেছে। গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত এর দাম বেড়েছে প্রায় ৫৯ শতাংশ।যুক্তরাষ্ট্রের তেলের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটেরও (ডব্লিউটিআই) সুসময় যাচ্ছে। এক বছরেরও বেশি সময় পরে গত সপ্তাহে এর দাম উঠেছে ব্যারেলপ্রতি ৫৫ ডলারের ওপর।

তেলবাজার বিষয়ক সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংস্থা ভ্যান্ডা ইনসাইটসের প্রতিষ্ঠাতা বন্দনা হরি বলেন, সপ্তাহখানেক পূর্বে তেলের মূল্যবৃদ্ধির সবচেয়ে বড় চালক হলো- করোনাভাইরাস পিছু হটছে, এমন ইঙ্গিতের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক ও তেলের চাহিদা পুনরুদ্ধার প্রত্যাশার শক্তিশালী উত্থান। এর পেছনে অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উৎপাদক দেশগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরব তেল সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া।

এছাড়াও গত এপ্রিলে উৎপাদন কমাতে রাজি হওয়ার পর থেকে উৎপাদকরা এপর্যন্ত প্রায় ২১০ কোটি ব্যারেল তেল কম সরবরাহ করেছেন। যার ফলে মজুত অনেকটাই কমে গেছে।

উল্লেখ্য যে, গত বছর করোনাবভাইরাস মহামারির হানায় তেল শিল্প রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এর দাম নেমে এসেছিল শূন্যেরও নিচে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই সংকট কাটতে শুরু করায় আবারো আশার আলো দেখছেন তেল ব্যবসায়ীরা।