প্রায় শতাধিক প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা

আল-আমিন শেখ, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবকে সামনে রেখে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয় মৃৎ শিল্পীরা। যথাসময়ে প্রতিমা সাজিয়ে পূজারীদের হাতে তুলে দিতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিমা বানানোর কাজ করছেন তারা।

হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রতিবছর শরৎ ঋতুতে অনুষ্ঠিত হয় এবং পূজা উদযাপন প্রস্তুতি ব্যাপক আগে থেকেই নেওয়া হয়।

আসছে আগামী ৬ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে এবং ইতিমধ্যে পূজা উদযাপন প্রস্তুতি শেষ করেছে উপজেলার সকল পূজা মন্ডপ। ১১ অক্টোবর বোধন শেষে ষষ্ঠী পূজা এবং আগামী ১৫ অক্টোবর শুভ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

সরেজমিনে, উপজেলার বিভিন্ন প্রতিমা কারিগর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির মূল উপাদান আঠালো মাটি ও বাশঁ-খড় সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। জাতীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদ নাগরপুর উপজেলা শাখা সূত্রে জানা যায়, পুরো উপজেলার জন্য এবার প্রায় ১২৬ টি প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিমা শিল্পী নিন্দু পাল বলেন, এবার আমি ১৩ টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছি এবং আমার সহকর্মীরা দিন-রাত মিলিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করে যাচ্ছি।

মূল্য সম্পর্কে জানায়, প্রতি প্রতিমার আকার ও সাজসজ্জা অনুযায়ী পারিশ্রমিক নির্ধারণ হয়। নাগরপুর নঙিনা বাড়ি বাকালী পাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামল বাকালী জানায়, প্রথমেই দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নাগরপুর হিন্দু-সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে শারদিয়া শুভেচ্ছা জানাই।

আমরা প্রায় ১ মাস আগেই প্রতিমা বানিয়েছি এবং ইতিমধ্যে পূজা উদযাপনের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছি। নাগরপুর প্রশাসন থেকে সকল সহযোগিতা আমরা পেয়েছি ও যথেষ্ট নিরাপত্তা বিদ্যমান রয়েছে। নাগরপুর সরকারি যদুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তেজেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানায়, আমরা দেবী মা দুর্গাকে বরণ করতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। প্রতিবারের মতো এবারো মা দুর্গা অবতীর্ণ হয়ে অশুভ শক্তি নাশ করে মঙ্গল প্রতিষ্ঠা করবেন।

জাতীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদ নাগরপুর উপজেলা শাখার আহব্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী কান্ত সাহা বলেন, সম্প্রীতিময় এই দুর্গোৎসব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নাগরপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গত বছর ১২ ইউনিয়নে ১২৬ টি স্থানে পূজা উদযাপন হয়েছে এবার আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।