বাংলাদেশের ৩ উইকেটে হার; ম্যাচের নায়ক উইন্ডিজের কাইল মায়ার্সের

স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বের যে কোনো দলের জন্যই কঠিনতম কাজ চতুর্থ ইনিংসে প্রায় চারশত রান করা। চারদিন খেলা শেষে উইকেট ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। উইকেটের ওপর স্পিন ট্র্যাকে রাজত্ব করেছেন বোলাররা।

ওয়েস্ট উইন্ডিজ দলটিতে বড় কোনো তারকা নেই। তাই তারা নতুনদের নিয়ে টেস্ট খেলতে এসেছেন। তিন জনের অভিষেক হয়েছে চট্টগ্রামে। কিন্তু টেস্ট ম্যাচে সব হিসেব উলোট-পালট করে দিয়ে বাংলাদেশকে তারা ৩ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছেন। প্রায় অসম্ভব কাজটি সম্ভব করে ফেলেছে খর্বশক্তির ওয়েস্ট উইন্ডিজ!

উইন্ডিজের প্লেয়াররা জয়ের জন্য ৩৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শনিবার ৩ উইকেটে ১১০ রান তুলে তারা চতুর্থ দিন শেষ করেছিল। কিন্তু পঞ্চম দিনের ভয়ংকর উইকেটে ব্যাটিং করতে তাদের ২৮৫ রানের প্রয়োজন ছিল। যা সবার চোখেই প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ছিল! কিন্তু নবীন দলটির সামনে বাংলাদেশি বোলাররা যেন পঞ্চম দিনে এসে বোলিং করাটাই ভুলে গেলেন।

অভিষিক্ত কাইল মায়ার্সের তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি এবং আরেক অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান একনক্রুমা বোনারের সঙ্গে তিনি ২০৭ রানের জুটি উপহার দিয়েছেন। যা ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ জুটি। তাছাড়া চতুর্থ ইনিংসে দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের সেরা জুটি।

এনক্রুমা বোনার আউট হয়েছেন ২৪৫ বলে ৮৬ রান করে। তাকে এলবিডাব্লিউ করে এই বিশাল জুটি ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। যাইহোক, এখন দেখার অপেক্ষার পালা বাংলাদেশের পরিণতি কী হয়! এর কিছু পরেই ব্ল্যাকউডকে বোল্ড করে দেন নাঈম হাসান। কিন্তু জসুয়া ডি সিলভাকে সঙ্গী করে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছিলেন কাইল মায়ার্সের।

তার একের পর এক বল ব্যাটের আঘাতে বাতাসে ভেসে সীমানার বাইরে চলে যাচ্ছিল এবং শেষ পর্যন্ত ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি! তার ডাবল সেঞ্চুরির পরেই জসুয়া ডি সিলভাকে (৫৯ বলে ২০) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন তাইজুল। তবে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে যায় আগেই; তখন উইন্ডিজ জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরে। কিন্তু শেষদিকে এসে একটু বেকায়দায় পড়ে যান ক্যারিবীয়রা। কেমার রোচকে (০) ফেরত পাঠান মিরাজ।