বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের প্রশ্নপত্র ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এখন সব ধরনের পরীক্ষার প্রশ্নই ফাঁস হচ্ছে! শিক্ষাবিদরা বলছেন, এই অবস্থা অব্যহত থাকলে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘যে কোনো পরীক্ষাতেই প্রশ্ন ফাঁস কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না৷ আজ যেসব শিক্ষার্থী ভালো রেজাল্ট করল তাদেরও মন ভার কেন? কারণ অনেকেই তাদের টিপ্পনি কেটে বলবে, তোমরা ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফল করেছ! কিন্তু আসলে সব শিক্ষার্থী তো ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়নি৷ তাহলে তাদের কেন এমন কথা শুনতে হবে?”

তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ফলে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে, যা একটা জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দেবে৷ তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমানে যেভাবে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে তাতে ভবিষ্যত কিন্তু অন্ধকারের দিকেই যাচ্ছে৷ এ অবস্থা অব্যহত থাকলে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাবে৷ তারা মনে করবে, লেখাপড়া করে লাভ কী? পরীক্ষার আগেই তো প্রশ্ন পাওয়া যায়৷ তা দিয়ে পরীক্ষা দিলেই তো ভালো ফল মিলবে৷”

তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ।পরীক্ষা শুরু হবার আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশ্নপত্র ফাঁস করলেন ডাঃ এইচ.এম.আলীমুল হক

বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি বোর্ড কে অবগত করছি হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসী ও ফার্মাকোপিয়া কিছু প্রশ্ন হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়েছেন।বিশ্বস্ত সূত্রে বোর্ড হতে জানা যায় প্রশ্ন প্রনেতারা তিন জন ২ সেট করে প্রশ্ন করেন এবং প্রশ্নপ্রনেতা ছয় সেট হতে তিন সেট প্রশ্ন করেন। তাহলে …… স্যার কি প্রশ্ন প্রণেতা না প্রশ্ন সমন্বয়কারী? কেন তিনি প্রশ্ন উম্মুক্ত করে দিলেন? তাই হোমিওপ্যাথি বোর্ড এর চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। একটি সুষ্ঠ তদন্ত হওয়া বিশেষ প্রয়োজন।

বোর্ড হতে বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা যায় করোনা রোগী প্রশ্নসমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । কিভাবে সম্ভব? মডারেশন এর সময় বোর্ড হতে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় অনুপস্থিত থেকে বেশীরভাগ নেতা গোএ শিক্ষক মডারেশন এর মতো পবিত্র দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা যায়।

নিচে প্রশ্ন পত্র দেওয়া হলো ঃ-এইচ.এম.এস. (ডিপ্লোমা) কোর্সঃ ২য় বর্ষ:

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংরক্ষিত

১। ফার্মেসী ও ফার্মাকোপিয়ার সংজ্ঞা।
২। সংক্ষিপ্ত নাম ও ব্যবস্থাপত্র লিখন।
৩। হোমিওপ্যাথিক ভেষজের উৎসসমূহ।
৪। হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসীতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সম্বন্ধে সাধারণ ধারণা।
৫। হোমিওপ্যাথিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সমূহ:
(ক) পরিস্রুত পানি- ইহার ধর্মাবলী ও পরীক্ষা সমূহ।
(খ) এলকোহল ও ইহার ধর্মাবলী।
(গ) দুগ্ধ শর্করা ও ইহার ধর্মাবলী।
(ঘ) গ্লোবুলেস- পিল সমূহের সাধারণ বৈশিষ্ট্যাবলী ও তাদের নাম্বারিং।
৬। অন্যান্য মাধ্যম: যেমন- ভেজিটেবল ওয়েল, গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা গ্রিজ ইত্যাদি।
৭। ঔষধ উদ্ভিদ:
(ক) ঔষধ উদ্ভিদের সংগ্রহ এবং রোগ সংক্রমণ থেকে তাদের সংরক্ষণ।
(খ) কিভাবে, কখন, কি অবস্থায় ঔষধ উদ্ভিদ সংগ্রহ করতে হয়।
(গ) ঔষধ উদ্ভিদ থেকে মূল অরিষ্ট প্রস্তুতির বিস্তারিত বিবরণ (টিংচার ফরমুলা নং ১-৯)।
৮। ভেষজের প্রস্তুতি ও শক্তিকরণ।
৯। ট্রাইটুরেশন (মুস্ক পদার্থের শক্তিকরণ):
(ক) দশমিক স্কেলে বিচূর্ণ।
(খ) শততমিক রীতিতে বিচূর্ণ।
(গ) ট্রাইটুরেশনের মাধ্যমে তরল শক্তিতে রূপান্তর।
১০। গ্লোবুলেসকে (অনুবটিকা) ঔষধিকরণের পদ্ধতি ও প্রস্তুতি।
১১। মূল অরিষ্ট প্রস্তুতি ও শক্তিকরণের আধুনিক পদ্ধতি।
১২। সূক্ষ্মতম মাত্রায় শক্তিকরণ, তরল পদার্থের সূক্ষ্মতম মাত্রায় পরিণত করার পদ্ধতি।
১৩। বাহ্যিক ঔষধ প্রয়োগ সম্বন্ধে ধারণা।
ব্যবহারিকঃ
১। হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবহার তাদের পরিষ্কারণ ও সংরক্ষণ।
২। অধিক গুরুত্ব সহকারে হোমিওপ্যাথিক ভেষজের উৎসের সংগ্রহ, সনাক্তকরণ ও সংরক্ষণ।
৩। হোমিওপ্যাথিক ভেষজের উপাদান হতে মূল অরিষ্ট প্রস্তুত করণ।
৪। হোমিওপ্যাথিক ভেষজ পদার্থের বিচূর্ণ প্রক্রিয়ার তৃতীয় শক্তি ও শততমিক শক্তিতে পরিণত করণ।
৫। ৫০ সহস্রতমিক প্রক্রিয়ায় হোমিওপ্যাথিক ভেষজের প্রস্তুতি।
৬। হোমিওপ্যাথিক ফার্মেসীতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবহার।
৭। হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ব্যবস্থাপত্র ও পরিবেশন পদ্ধতি।

সহায়ক গ্রন্থ——–
হ্যানিমান’স অর্গানন অব মেডিসিন (২৫৪ থেকে ২৭১ সূত্র)
হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া – এম ভট্টাচার্য এন্ড কোং (চতুর্দশ সংষ্করণ)
ফার্মাকোপিয়া – ডা. আবু হোসেন সরকার
হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অব ইন্ডিয়া
হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অব ইউ. এস. (সর্বশেষ সংষ্করণ)

#সংকলনে: ডা.এইচ.এম.আলীমুল হক
ডিএইচএমএস (বিএইচবি), কিউএইচসিবি (বিইউবি)
চেম্বার: আলহক্ব হোমিও ফার্মেসী, মৌচাক, মিজমিজি
সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ।