বিরামপুরে এক যুগেও স্থানান্তর হয়নি ইউপি অফিস

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বিরামপুরে এক যুগেও স্থানান্তর হয় নাই ইউপি অফিস। জানা যায়,দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের এক যুগেও স্থানান্তর হয়নি পরিষদ অফিস। উক্ত ভবনের পার্শ্ববর্তী কাটলা বাজার সংলগ্ন পুরাতন একটি ঘরে গাদাগাদি করে চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বসলেও সেবা নিতে আসা জনসাধারণ বিচার প্রার্থীরা সেবা না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন বলে জানা যায়। আরও জানা যায় যে,উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার কাটলা।

সীমান্তবর্তী এই বাজারের পশ্চিম দিকে হাসপাতাল মোড় ২০০৭ সালের ১৩ই (নভেম্বর) ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নতুন ইউপি ভবন নির্মাণ কাজ আরম্ভ করেন। উল্লেখ্য ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট ভবনটি নির্মাণ শেষে ১৯ আগস্ট ২০০৮ সালে ভবনটি উদ্বোধন করে বিদ্যুৎ,পানির ব্যবস্থা ও আসবাবপত্র ছাড়াই তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ডা.আব্দুল আহাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

উক্ত ২নং কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান,বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা ছাড়াই সীমিত চেয়ার টেবিল নিয়ে নতুন ভবনে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ডা.আব্দুল আহাদ অফিস শুরু করার চেষ্টা করেন। ভবন হস্তান্তরের পর থেকে সাবেক চেয়ারম্যান ডা.আব্দুল আহাদ ও শামসুল আলম কোনোদিন এই নতুন ভবনে আসেননি বলে জনগণের মন্তব্য। কিন্তু বাজারস্থ পুরাতন ইউপি ঘর থেকে নতুন ভবন দূরবর্তী হওয়ায় সেখানে সাধারণ লোকজন যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। বাজার থেকে নতুন ভবন দূরবর্তী হওয়ায় এবং নতুন ভবনে নাগরিক সুযোগ সুবিধা না থাকায় সেখানে লোকজন যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। ফলে ভবন নির্মাণ হলেও ১২ বছরে সেখানে নতুনভাবে অফিস স্থানান্তর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই আমি স্বল্প পরিসরে দুই ভবনে অফিসে বসে জনগণের সেবা প্রদান অব্যাহত রাখছি।

ইউনিয়ন পরিষদের ১নং সংরক্ষিত নারী সদস্য রাহেনা বেগম বলেন,নতুন ভবনে বসার জায়গা,পানি ও টয়লেটের কারণে আমরা এখানে অবস্থান করছি। ইউপি সচিব মো.ইলিয়াস আলী বলেন, চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জনগণের সুবিধার জন্য নতুন ভবন ও পুরাতন ভবন দুই জায়গায় কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে দুই জায়গায় অফিস থাকলে জনগণ আরও বেশি দুর্ভোগে পড়বে বলে মন্তব্য করেন। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার বলেন,আমি শুনেছি ২নং কাটলা ইউপির দুটি ভবন আছে।

যত দ্রুত সম্ভব পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নিলামের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হবে। নতুন ভবনটিতে অফিস পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে।