বেনাপোলে ভারত প্রবেশের অপেক্ষায় হাজারো পণ্যবাহী ট্রাক, চলাচলে চরম দুর্ভোগ

এস এম মারুফ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলের প্রায় ৭ কিলোমিটার জুড়ে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে ভারত প্রবেশের অপেক্ষায় হাজারো পণ্যবাহী ট্রাক। এতে করে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পাসপোর্ট যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের। এমনকি ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া অসুস্থ যাত্রীরা এই ভোগান্তির কবলে পড়ে অনেকেই আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

আজ রবিবার (২৬ সেপ্টম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে শুরু করে শার্শার কামার বাড়ি মোড় (প্রায় ৭ কিঃমিঃ) ছাড়িয়ে গেয়ে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা এসব পণ্যবাহী ট্রাক।

স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজা-বাদশা মানি চেঞ্জারের সত্বাধিকারী আলহাজ এইচ এম আবুল বাশার বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত যেভাবে পণ্যবাহি ট্রাকে যানযট সৃষ্টি হয়ে আছে, এতে করে রাস্তায় বের হওয়া যেমন ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি অস্বস্তিকর। এছাড়াও এই যানযটের কারণে সাধারণ মানুষকে বেনাপোল বাজারে যেতে দ্বিগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে। যেটা এই করোনা মহামারির মধ্যে কাটার উপর বিষফোঁড়ার মতো।

ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী চাপাইনবাবগঞ্জের শিরিন আক্তার জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টার সময় কোলকাতা ইয়ারপোর্ট থেকে আমাকে বিমানে উঠতে হবে। অথচ শার্শা থেকে বেনাপোল আন্তজার্তিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে আসতে একঘন্টা সময় লেগেছে। এখন জানিনা সময় মতো ইয়ারপোর্টে পৌছাতে পারব কিনা?

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বলেন, যানজট নিরাশনে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল), ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক, ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি, সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তারা সম্মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত হয়, মেইন রাস্তা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, কভার্ড ভ্যান সরিয়ে বাইপাস রোডে যাতায়াত করবে। এতে করে শহরমুখি আর কোন যানজট সৃষ্টি হবে না বলে তিনি জানান।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান বলেন, বেনাপোলে যানজট নিরাশনে প্রশাষনের উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে স্থানীয় আমদানি-রপ্তানি কারকদের আলোচনা হয়েছে। আর এই যানজট থেকে বেরিয়ে আসতে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, যানজট নিরাশনের জন্য গত বৃহষ্পতিবার (২৩ সেপ্টম্বর) প্রশাষনের উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে স্থানীয় আমদানি-রপ্তানি কারক সহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের সাথে আলোচনা হলেও তা এখনো বাস্তবায়নে রুপ নেয়নি।