ভৈরবে আবাসিক হোটেল আল জিহাদে দেহ ব্যবসা, হাতেনাতে ধরা

নাঈম মিয়া, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আবাসিক হোটেল আল জিহাদে সন্ধান মিলছে ‘মধুচক্রের’। হোটেল যেন পরিণত হয়েছে ‘সীমিত পরিসরের পতিতালয়’। মানুষ থাকার জন্য এসব হোটেল চালু থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এসব হোটেলে চলে পতিতাবৃত্তি। দিনে রাতে এভাবে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হোটেল মালিকরা।গত তিন দিনের অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা যায়।

ভৈরব শহরের দূর্জয় মোড় এলাকায় আল জিহাদ আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে পুরো হোটেল তল্লাশি করে ৩য় তলায় একটি রুমে ভূয়া স্বামী-স্ত্রী পরিচয়দানকারী অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত জীবন মিয়া ও ইসমুতারা কে আটক করেছে ভৈরব থানা পুলিশ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন এর নির্দেশে এসআই আঃ সালাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ( ১৮ সেপ্টেম্বর ) রাতে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত মোঃ জীবন মিয়া (৩১) জাহাজ শ্রমিক ও ইসমুতারা (২৬)। পুলিশ ও স্থানীয়া সূত্রে জানা পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে ভৈরবে বেশ কয়েকটি বাসা-বাড়ী ও আবাসিক হোটেলগুলোতে কৌশলে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল এরই উক্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর ও সন্ধ্যায় ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড় সংলগ্ম আবাসিক হোটেল আল জিহাদে অভিযান চালালে সিসি ক্যামেরায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত হোটেলের ম্যানেজার ও দালালরা পালিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একজন বলেন, হোটেল আল জিহাদ এর অধিকাংশ রোম গুলিতে জানালায় বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে অপকর্ম করে পালিয়ে যাওয়ার গোপন রাস্তা। পুলিশের অভিযান চলার সময় পুলিশ হোটেল মালিক ভৈরব উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহাব্বয়ক নিয়াজ মুর্শেদ আঙ্গুর কে তার ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান ভৈরব থানা পুলিশ। গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আবাসিক হোটেল আল জিহাদে নারীসহ খদ্দের গ্রেফতার।থানায় নিয়ে জিগাসাবাদ করে ২১৯ ধারা মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়।

এস আই সালাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুরো ঘটনা তদন্ত করে মেয়েটি জীবন মিয়ার সাথে কোন পরিচয় নেই দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। পুরো হোটেল এমন ভাবে বানানো হয়েছে যে হোটেল রুমে একাদিক গুপন সিড়ি রয়েছে। সামনে দরজা কেউ নক করলে পিছনে দরজা জানালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা করা আছে । জানালা এমন ভাবে গ্রীল কেটে ক্লাম লাগানো হয়েছে এদিক দিয়ে বের হওয়া যায় এটা কেউ আগে থেকে না জানলে সম্ভব না।

হোটেলের সামনে মাত্র একটি সিড়ি ভিতরে রেইড দিলে বের হওয়ার জন্য একাদিক গুপন রাস্তা দিয়ে যা প্রসাশন মানুষের আড়ালে রয়েছে। হোটেল তল্লাশী করলে যে কেউ বুঝতে পারবে এটা বানানো হয়ছে দেহ ব্যবসার জন্য। জীবন মিয়া এবং ইসমুতারা কাছে একটি রুমের জন্য ২২শ টাকা নেয়া হয়েছে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে জীবন জানিয়েছেন। তার বন্ধু র‌্যাবে আছেন উনি বলেছেন সমস্যা নেই খসরু নামের একজন র‌্যাব কর্মকর্তা কে বার বার ফোন করেছেন কল রিসিভ করেন নি। সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীর জানিয়েছেন দূর্জয়মোড়ের পাশে র‌্যাব অফিস পাশেই ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে অল্প দূরে ভৈরব থানা বিষয়টি অবাক করার মত যে প্রসাশনের নাকের ডগায় কিভাবে বুক ফুলিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যায় এত সাহস কোথায় পায় ওরা অসাধু আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ের নামে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এটা অব্যইশই প্রসাশনের নজর রাখা উচিত বলে মনে করি ।