ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে খুলছে না ঢাবির হল

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় আগামী ১৭ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রদানের আগ পর্যন্ত হল না খোলার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন প্রভোস্টরা।

প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সূত্রে জানা যায়, ১৭ মে খোলাটা অনিশ্চিত। শিক্ষার্থীদের অন্ততপক্ষে এক ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান নিশ্চিত করে হল খুলার সুপারিশ করেছে কমিটির কয়েকজন সদস্য।

সভার বিষয়ে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল বাছির জানান, সরকার চেয়েছিল অর্ধেক ছাত্রকে ভ্যাকসিন দিয়ে হলে ওঠানো হবে। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, সরকার যেভাবে চেয়েছিল সেভাবে শিক্ষার্থীদের নাম, তাদের তালিকা কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এখন টিকা প্রদানের বিষয়টি আমাদের নাগালের বাইরে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ২০ মার্চ হল খালি করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে। এর মধ্যে অনলাইনে ক্লাস ও দুটি সেমিস্টারের মিডটার্ম পরীক্ষা হলেও আটকে আছে সব বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস শুরু হবে আগামী ২৪ মে থেকে। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। ২৪ মের আগে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় কোনো পরীক্ষা হবে না। ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভা ডেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তখন বলেছিলেন, বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, করোনা টিকার প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর ইমিউনিটি হয়। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল ১৭ এপ্রিলের মধ্যে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টিকার প্রথম ডোজের আওতায় আনা হয়। সেটি হলে ১৭ মে থেকে তারা শিক্ষার্থীদের হলে উঠাতে পারেন। এরপর করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে ২৪ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত ওয়েব লিংকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করার নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত করোনা টিকা নিশ্চিত করা যায়নি। এ ব্যাপারে কোনো হালনাগাদ তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না।