মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে অন্যের অধিকার হরণ নয় : সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে অন্যের অধিকার হরণ নয়, খেয়াল-খুশি মতো লেখা বা বলা নয়।

ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই নাকি সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে– বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, কোনও আইনের বলে নয়, শেখ হাসিনা সরকার টিকে আছে জনমানুষের আস্থা ও ভালেবাসায়। ক্ষমতা দেওয়ার মালিক সৃষ্টিকর্তা আর দেশের জনগণ। সরকার যেকোনো আইন প্রণয়ন করে জনস্বার্থে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটির আইনগত কাঠামো রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে অন্যের অধিকার হরণ নয়, নয় খেয়াল-খুশি মতো লেখা বা বলা।

আজ শুক্রবার (১২ মার্চ) নিয়মিত ব্রিফিংকালে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বলা বা লেখার ক্ষেত্রে সত্যতা এবং বস্তনিষ্ঠতা থাকলে আইন কোনো বাধা নয়। তারপরও আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সেজন্য শেখ হাসিনা সরকার ইতোমধ্যেই কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিএনপির আন্দোলন ইস্যুতে তিনি বলেন, কোনোও যুৎসই ইস্যু খুঁজে না পেয়ে বিএনপি ঠুনকো ইস্যু নিয়ে মাঠ গরমের অপচেষ্টা করছে।

বিএনপির নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি বলেছিলেন ‘পাগল ও শিশুছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা অবান্তর।

তিনি আরও বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, বিএনপিকে এ নিয়ে দাবি-দাওয়া পেশ করতে হবে না। বিএনপি রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়ে এখন গুজব পার্টিতে পরিণত হয়েছে। গুজব ও অপপ্রচারই তাদের একমাত্র ভরসা, সেজন্যই বিএনপি ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের বিরোধিতা করে প্রকারান্তরে আধুনিক প্রযুক্তির বিরোধিতা করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু। তাইতো তাদের আমলে ভোগের পেয়ালা উপচে পড়েছিল।