মধুপুরে রাজা হেমচন্দ্র চৌধুরী রাজেশ্বরী মন্দির ও বৃদ্ধাশ্রম প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ; প্রয়োজন সহযোগিতার

সাইফুল ইসলামঃ নিজ সংসারে অবহেলিত প্রবীণদের জন্য শেষ আশ্রয়স্থল বৃদ্ধাশ্রম। তাদের শেষ সময়ের সম্মান ও নিরাপত্তা দেওয়া হয় বৃদ্ধাশ্রমে। পারিবারিক স্নেহবঞ্চিত প্রবীণদের ঠাঁই দিতে টাঙ্গাইলের মধুপুরের আম্বাড়ীয়ায় ঐতিহাসিক রাজা হেমচন্দ্র চৌধুরী রাজেশ্বরী মন্দির ও বৃদ্ধাশ্রম আনুমানিক ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এটির প্রতিষ্ঠাতা মধুপুরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশিষ্ট নেতা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বাবু উত্তম কুমার সিংহ রায়। এখানের সাধু ভবনটি নির্মাণ করেছেন গোসাই রাধা কৃষ্ণ দাস। বর্তমানে এটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। তবে স্থানীয় হারাধন বাবুসহ কিছু মহৎ আন্তরিকতায় কিছু মহান উদ্যোগে এটি এখনো টিকে আছে। এরকম মহান উদ্যোগে অন্যান্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে তবেই অসহায় বৃদ্ধদের আগামী দিনের জীবনযাপন অনেকটা সহজ হবে।

বিশিষ্ট সমাজসেবক, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও অধ্যাপক মানিক বসু বলেন, আমরাও চাই, এ বৃদ্ধাশ্রমটি অটুট থাকুক। এখানে আশ্রিত বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও শেষ বয়সে বেঁচে থাকুক পরম নির্ভরতায়। আনন্দে কাটুক সারাক্ষণ। আমরা তাদের পাশে থাকতে চাই। তাদেরকে সেবা দিতে চাই। আপনারাও পাঁশে দাঁড়ান। এ বৃদ্ধাশ্রমটির পাঁশে দাঁড়াতে সহৃদয়বান ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের প্রতি ঔদ্ধাত্য আহবান জানাচ্ছি।

ইতোমধ্যেই অবহেলিত বৃদ্ধেরা জীবনের শেষ দিনগুলো যেন একটু ভালোভাবে কাটাতে পারেন, সে উদ্যোগ নেওয়ায় মধুপুরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশিষ্ট নেতা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বাবু উত্তম কুমার সিংহ রায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ।