মাত্র ৭ ঘণ্টায় ১০১ নারীকে বন্ধ্যাত্বকরণের অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে!

মাত্র ৭ ঘণ্টা। আর এই সময়ের মধ্যেই ভারতে ১০১ জন নারীকে বন্ধ্যাত্বকরণের অপারেশন করার অভিযোগ উঠল এক শল্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ছত্তিশগড় সরকার। সরকারি নিয়মে যেখানে একদিনে ৩০টির বেশি অস্ত্রোপচার করতে পারেন না কোনো চিকিৎসক, সেখানে এত বেশি অপারেশন তিনি সত্যিই করে থাকলে, শাস্তির মুখে পড়তে পারেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।

জানা যাচ্ছে, গত ২৭ আগস্ট এক বন্ধ্যাত্বকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্যের নর্মদাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে অতগুলো অপারেশন করেন ওই চিকিৎসক। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতোমধ্যেই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। অভিযুক্ত ডাক্তারের কাছে জবাব চেয়ে নোটিশও পাঠিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

তবে যে ১০১ জন নারীর বন্ধ্যাত্বকরণ হয়েছিল ওইদিন, তারা সকলেই সুস্থ আছেন। ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের মুখ্য সচিব ডা. অলোক শুক্লা জানিয়েছেন, একদিনে সর্বোচ্চ ৩০টি অপারেশন করতে পারেন কোনো শল্য চিকিৎসক। তদন্ত করে দেখা হবে, কেন এই গাইডলাইন ভাঙা হলো।
তবে অভিযুক্ত ডাক্তার জানিয়েছেন, বহুসংখ্যক নারী তার কাছে আরজি জানিয়েছিলেন, দ্রুত তাদের অপারেশন করে দেওয়ার জন্য। যেহেতু তারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে এসেছিলেন, তাই তাদের দাবি ছিল দ্রুত অপারেশন না হলে তাদের পক্ষে মুশকিল। সবদিক বিবেচনা করেই দ্রুত অপারেশন করতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালের নভেম্বরে সরকারি এক বন্ধ্যাত্বকরণ শিবিরে অপারেশন করানোর পরে ৮৩ জন নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও প্রবল বিতর্ক ছড়িয়েছিল।

সূত্র : নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস