মাধবপুরে ২৪ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভা আজ ও নির্মাণ করতে পারেনি নিজস্ব পৌরভবন

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ কিতাব আলী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডর বাসিন্দা, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার নাগরিক হিসেবে প্রতি বছর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বিদ্যুৎ ও পানি বিল পরিশোধ করে আসছে। ভোটার ৩২শ পূর্ব মাধবপুর ১নং ওয়ার্ডটিতে রয়েছে প্রায় ৮ হাজার লোকজন প্রাইভেট গ্রাহক হিসেবে সব ধরনের পৌর কর পরিশোধ করে আসা কিতাব আলী, ইমাম আলী, দৌলত আলীর, স্ত্রী করম চাঁন বেগমসহ অনেকেরই আক্ষেপ।

হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার গ্রেড উন্নতি হলেও নাগরিক সুবিধার উন্নয়ন হয়নি ১ম শ্রেণীর পৌরসভায় নাগরিক সুবিধার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শ্রেণীর বলে অভিযোগ করেন ওই ওয়ার্ডের লোকজন। প্রধান সড়ক ব্যতিত পূর্ব মাধবপুর ওয়ার্ডর সকল রাস্তাই কাচা, ৯০% কর আদায় করা হলেও সরবরাহ হচ্ছেনা সুপেয় খাবার পানি, ডাম্পিং পয়েন্ট ও ময়লা পরিস্কার লোক না থাকায় যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা।

রাস্তায় সড়ক বাতি না থাকায় সন্ধ্যায় অন্ধকার নামার সাথে সাথে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে উৎকন্ঠা প্রকাশ করেন পৌরসভার সর্বকনিষ্ঠ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আবজল পাঠান
তিনি আক্ষেপ করে বলেন আমরা ১নং ওয়ার্ডবাসী অজাপাড়ায় বসবাস করি খোজ নিয়ে জানাযায়, ১৯৯৭ সালের ২রা আগষ্ট প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভাটি পর্যায়ক্রম ৩য় শ্রেণী থেকে গত ২০১২ সালে ১ম শ্রেণীতে উন্নতি হয় প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটারের পৌরসভার ভিতরে সর্বমোট রাস্তা রয়েছে ৫৬.৯ কি.মি।

এর মধ্যে প্রধান প্রধান সড়ক ও ব্রিজ নির্মান হলেও পর এলাকার ভিতরে এখনো কাঁচা রয়েছে ১৬.৬০ কি.মি. পৌরসভার ২ এবং ৯নং ওয়ার্ড তেমন উন্নয়ন হয়নি বলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হাকিম ও দুলাল খাঁ এর সাথে কথা বলে জানা যায়। পৌরবাসিরা সমহারে গৃহ ও ভূমির উপর কর স্মরক সম্পত্তি হস্তান্তর, ইমারত নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ, ব্যবসা ও কলিং, জন্ম, বিবাহ ও দত্তক গ্রহন, যানবাহন, বৈদ্যুতিক খুঁটি, হাটবাজার।

সার্টিফিকেট, ফরম ইত্যাদির উপর বিগত বছর গুলার চেয়ে চলতি বছরে কর বাড়লেও বাড়নি নাগরিক সুবিধা। করের চাপ পৃষ্ট হওয়ার উপক্রম পৌরবাসিদের। ২৪ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত পৌরসভা আজও নির্মাণ করতে পারেনি নিজস্ব পৌরভবন এ বিষয় পর সচিব মোঃ আমিনুুল ইসলাম জানান, আমরা অনুমাদনবিহীন বিল্ডিং তৈরীর বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছি। প্রকৌশলী বিভাগসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলদের মাধ্যমে খরব রাখার চেষ্টা করি। কোথাও এ রকম হলে পৌর আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধ ব্যবস্তা নিব।

পৌর শহরের অভাত্তরে সম্প্রতি সরকারী খাস ভূমি উদ্ধার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আবার বেহ্যত হতে চলছে পৌর বাসিন্দার দীর্ঘদিনের দেখানো স্বপ্ন পৌর টার্মিনাল, পৌর কিচেন মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেটের জায়গা নির্ধারিত থাকলেও আজো বাস্তবায়ন হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষ বিগত কয়েক বছর যাবৎ পৌর মার্কেট ও টার্মিনাল নির্মাণ বাৎসরিক বাজেটের বরাদ্দ রাখলেও অদৃশ্য কারণে আজো আলোরমুখ দেখেনি।

পৌরশহরের ভিতরে বিল্ডিং কোড না মনে বহুতল ভবন তৈরী করায় রাস্তা সংকুচিত হয়েছে।এছাড়াও বিল্ডিং এর উপচে পড়া পানি রাস্তার উপর পড়ায় নাগরিকের স্বাভাবিক যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে। পৌরশহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা পৃথক না হওয়ায় সমান তাল চলছে বহুতল ভবনের কাজ। যা ভবিষ্যতে পৌরসভার নাগরিকদের স্বাভাবিক বসবাসের বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন হাজী ওসমান খাঁনসহ বেশ কয়েকজন সচেনত নাগরিক।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মানিক বলেন আমি ৮ মাস হল নির্বাচিত হয়ে দ্বায়িত্ব গ্রহন করছি প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ ওয়ার্ড ভিত্তিক সকল জনগনের মতামত নিয়ে। সকল বাধা অতিক্রম করে পৌরভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভবন নির্মাণের জন্য ৪৪ লাখ টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা আছে পৌর এলাকার বাহিরের এক যুবক বৃহৎ উন্নয়ন কাজটি বাধাগ্রস্ত করার জন্য উদ্দেশ্য মুলখভাবে গত মেয়রের আমলে হাইকোর্ট রীট দায়ের করে। ওয়ার্ড ভিত্তিক উন্নয়ন কাজ ধারাবাহিকভাবে চলছে বলে তিনি দাবি করেন।