ইব্রাহিম আলম সবুজ, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের টগরাইহাট বাজারের পাশ্ববর্তী গ্রামের গোদ্দারের ব্রিজের পাশ থেকে রাব্বি মিয়া (১২) নামে এক শিশুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে রাজারহাট থানা পুলিশ। ৭ই মে শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকায় ড্রেনের পাশে ইউক্যালিপটাস গাছের সাথে গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় শিশুটির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে দ্রুত রাজারহাট থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। প্রাথমিক সুরতহাল তদন্তে শিশুটির শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটি পরিকল্পিত হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি রাজারহাট থানা পুলিশ। তবে মরদেহের পাশে একটি পরিত্যাক্ত মোবাইল ফোন পাওয়া যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী। কিশোরের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এলাকাবাসীর ধারণা এটা হত্যাকান্ড। না হলে গলায় ফাঁস দিলে পা মাটির সাথে হাটু গেরে বসে থাকার মত হবে কেন?
নিহতের স্বজনরা জানান, রাব্বি একটি মাদরাসার ছাত্র। করোনাকালীন সময়ে মাদরাসা বন্ধ থাকায় সে বাড়িতে থাকছেন। প্রতিদিনের ন্যায় সে টগরাইহাট গোদ্ধারের ব্রিজ ড্রেনের কাছ থেকে হাঁসের খাবার সংগ্রহ করত। আজ সকালে শিশুটি তার বাবা হারেজ আলীর জন্য খাবার নিয়ে গোদ্দারের ব্রিজের পাশে এসেছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সকাল ১১ ঘটিকায় এলাকাবাসী শিশুটির মরদেহ ইউক্যালিপটাস গাছের সাথে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। নিহত রাব্বি চাকিরপশার ইউপির ছুটু গ্রামের হারেজ আলীর পুত্র বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার ওসি রাজু সরকার বলেন, নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। তবে অধিকতর তদন্ত করে হত্যা না আত্মহত্যা তা সুনিশ্চিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।