রিয়ালকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে বিলবাও

স্পোর্টস ডেস্ক

ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়ই দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। একের পর এক আক্রমণ করছিল আথলেতিক বিলবাও, তবে কাজের কাজ করতে পারছিল না তারাও। ম্যাচ তখন অতিরিক্ত সময়ে যাওয়ার পথে। এমন সময় জ্বলে উঠলেন আলেশ বেরেনগার। তার দুর্দান্ত গোলে কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালে উঠল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নরা।

সান মামেসে বৃহস্পতিবার রাতে শেষ আটের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা।

এই ম্যাচের আগে চলতি মৌসুমে বিলবাওয়ের বিপক্ষে তিনবারের দেখায় সবকটিতেই জিতেছিল রিয়াল। লা লিগার দুই ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিলেন করিম বেনজেমা; প্রথম লেগে ১-০ ও ফিরতি লেগে ২-১ ব্যবধানে জয়ে দলের সবকটি গোল করেন তিনি। গত মাসে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে ২-০ ব্যবধানের জয়েও একটি গোল করেন ফরাসি তারকা।

চোটের কারণে এবার খেলতে পারলেন না বেনজেমা। আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে অনেকটা বাধ্য হয়ে জাতীয় দলের ব্যস্ততা সেরে আগের দিনই ফেরা ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো ও কাসেমিরোকে নামিয়ে দেন রিয়াল কোচ। কিন্তু প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচের ৪২ ঘণ্টার মাথায় মাঠে নেমে কিছুই করতে পারেননি তারা।

গতিময় ফুটবলে শুরু ম্যাচের নবম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বিলবাও। তবে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দানি গার্সিয়ার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান থিবো কোর্তোয়া। চার মিনিট পর আবারও দূর থেকে চেষ্টা করেন গার্সিয়া। এবার তার নিচু শট রক্ষণে প্রতিহত হয়।

প্রথম ১৫ মিনিটে ঘর সামলাতে ব্যস্ত রিয়াল এরপর একটু একটু করে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে সুবিধা করতে পারছিল না তারা।

প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় চাপ ধরে রেখে বিলবাও গোলের উদ্দেশ্যে মোট ১০টি শট নেয়, যদিও মাত্র একটিই লক্ষ্যে ছিল। বিপরীতে রিয়ালের তিন শটের একটি ছিল লক্ষ্যে, তবে এর কোনোটিই তেমন ভাবাতে পারেনি প্রতিপক্ষকে।

দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে আবার বিলবাওয়ের আক্রমণ। এবার কোনোমতে এক হাত দিয়ে পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করেন রিয়াল গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে রাউল গার্সিয়ার হেড হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।

প্রতিপক্ষের একের পর এক আক্রমণ সামলে ওপরে উঠতেই পারছিল না রিয়াল। এ পর্বে প্রতিটি আক্রমণের শেষে বিলবাওয়ের খেই হারানোটাও ছিল হতাশাজনক।

৮১তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন কাসেমিরো। কিন্তু গোলরক্ষক বরাবর নিচু দুর্বল শট নেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।

অবশেষে ৮৯তম মিনিটে ‘ডেডলক’ ভাঙেন আলেশ। মিকেল ভেসগার পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডার নাচো ফের্নান্দেসকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন বিরতির পর বদলি নামা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। কোর্তোয়া ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি।

এই হারে ট্রেবল জয়ের আশা আগেভাগেই শেষ হয়ে গেল লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়ালের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও এখনও টিকে আছে তারা।

দিনের আরেক কোয়ার্টার-ফাইনালে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল বেতিস। আগের দিন জিতে সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রায়ো ভাইয়েকানো ও ভালেন্সিয়া।