লালমনিরহাটে রাস্তার উপর বাড়ি নির্মাণ, প্রতিবাদ করায় মামলা

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় সরকারী রাস্তা দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে। ওই উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের শ্রীখাতা এলাকায় রাস্তা দখলের প্রতিবাদ করায় পার্শ্ববর্তী দেবেন্দ্র নাথ ও তার পুত্রদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন সুধীর চন্দ্র রায়ের লোকজন।সড়ে জমিনে ওই এলাকায় গেলে মৃত মনোরঞ্জন বর্মনের পুত্র দেবেন্দ্র নাথ বলেন, পার্শ্ববর্তী মৃত যাত্রা মোহন রায়ের পুত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র রায় সরকারী রেকর্ডভুক্ত রাস্তা দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ওই রাস্তাটি পার্শ্ববর্তী একজনের ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর দিয়ে বের করে দিয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে আমার ও আমার পুত্রদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। দেবেন্দ্র নাথের অভিযোগ, ক্ষমতা ও টাকার প্রভাব খাটিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র রায় তার পরিবারের বিরুদ্ধে যড়ষন্ত্র মুলক নানা অভিযোগ দায়েরসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেছেন। সরকারী রাস্তা উদ্ধারসহ হুমকি প্রদানের ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে গত ২৭ ও ২৯ এপ্রিল স্থানীয় থানায় দুইটি সাধারণ ডাইরী করেছেন দেবেন্দ্র নাথের পুত্র নিরঞ্জন বর্মা।
তবে দেবেন্দ্র নাথের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র রায় বলেন, ভুল বশত সরকারী রাস্তা বসত বাড়ির উপর দিয়ে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।তারপরও আমরা বাড়ির পাশে আমাদের জমি দিয়ে রাস্তা বের করে দিয়েছি। কিন্তু সেই জমি নিজের বলে মিথ্যা দাবী করে আসছেন দেবেন্দ্র নাথ ও তার পুত্ররা। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও দেবেন্দ্র নাথ ও তার পুত্ররা ওই সালিশের রায় মানেন না। দহগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিন্দ্র নাথ বর্মণের সাথে এ নিয়ে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আদালতে মামলা ও থানায় সাধারণ ডাইরী হয়েছে। তদন্ত চলছে পাশাপাশি শুনেছি স্থানীয় ভাবে মিমাংশার চেষ্টাও চলছে।এ বিষয়ে কালীগঞ্জের ইউএনও (বর্তমানে বদলীকৃত) রবিউল হাসান বলেন, ওই এলাকায় রাস্তা নিয়ে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমি সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করতে বলেছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।