শহর পরিছন্নতার কাজে নিজেই নামলেন পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু

এসএম আনিছুর রহমান খোকা, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
মাত্র একদিন পরে ঈদ। কাজ করছে না ঝিনাইদহ পৌরসভার পরিছন্ন কর্মীরা। শহরের বিভিন্ন যায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা,ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ছালত্রীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজেই পরিষ্কার করতে মাঠে নামলেন রাতে।মঙ্গলবার রাত ১০ টার পরে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর,ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে পৌরসভার ময়লার গাড়িতে ময়লা আবর্জনা উঠিয়ে পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েন।জানাগেছে, স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে ও আউট সোর্সিংয়ের দৈনিক বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মগট করেছে ঝিনাইদহের হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন ও পরিছন্নতা কর্মীরা।ঝিনাইদহ পৌরসভায় আধুনিক ভাবে পয় নিষ্কাসনের ব্যবস্থা থাকায় তারা কোন বাড়ির ডাকে সরাসরি যেতে পারছে না। যার কারণে ঝিনাইদহ পৌরসভার কর্তৃপক্ষের উপরে ক্ষোভ রয়েছে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের।বাংলাদেশের একমাত্র মডেল পৌরসভা হিসাবে মানববর্জ্য শোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে।ভেকু ট্যাগের মাধ্যমে কম খরচে ও স্বল্প সময়ে টয়লেটের বর্জ্য নিষ্কাসন করে পৌর কর্তৃপক্ষ। আর এতেই বিপত্তি বাধে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজনের।এর আগে তারা একেক জনের কাছ থেকে একেক রকম টাকায় টয়লেট পরিষ্কার করতো। কিন্তু পৌর সভা নির্দিষ্ট মূল্যে এই কাজ করে দিচ্ছে।পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, আমরা আউট সোর্সিং ভিত্তিতে পরিছন্নতা কর্মীদের দিয়ে কাজ করাচ্ছিলাম। কিন্তু কেউ তাদের উষ্কানি দিয়ে স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে ধর্মগটে পাঠিয়েছে। আমরা পরিছন্নতা কর্মীদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে আসছিলাম।থাকার যায়গা,বিদ্যুৎ বিল সহ যাবতীয় সুবিধা দিচ্ছিলাম।কিন্তু তারা মাসিক ১০০০০ টাকা বেতনে স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে ধর্মঘট করেছে। সামনে ঈদ এই কারণে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করে পৌর কর্তৃপক্ষকে জিম্মি করে দাবি আদায় করতে চায়। এই কারণে আমি নিজেই পরিছন্নতা কাজে নেমেছি। শহরবাসীর সুবিধার জন্য। ঈদের পর আউট সোর্সিংয়ের ভিত্তিতে পরিছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার সচিব,পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।