সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি ৫ বছর পর হলফনামা বাধ্যতামূলক করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদে কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, চাকরিতে নিয়োগের সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মীদের হলফনামা দেওয়ার নিয়ম চালু করতে হবে। এরপর তিনি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর বা পদন্নোতির সময় হলফনামা দেওয়ার দাবি জানান।

হানিফ বলেন, ‘চাকরিতে নিয়োগের সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হলফনামা দিতে হবে, কিন্তু তারা হলফনামা দেন না। অথচ একজন রাজনীতিবিদকে হলফনামা দিতে হয়। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বা পদোন্নতির সময় হলফনামা দিতে হবে। এ নিয়ম চালু করলে তাদের কি পরিমাণ আয় বা সম্পদ বাড়ছে তা জানা যাবে, দুর্নীতি কমবে।’

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছিলেন, তখন বলেছিলেন আমরা দুর্নীতি বরদাস্ত করবো না। সরকারি কর্মচারীদের দফায় দফায় বেতন বাড়ানো, সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে, তারপরেও কেন তারা দুর্নীতি করবে? অথচ দুর্নীতির কথা উঠলেই প্রথমেই আঙ্গুল তোলা হয় রাজনীতিবিদদের দিকে। একমাত্র মন্ত্রী ছাড়া কোনো সদস্যের নির্বাহী ক্ষমতা নেই, তাহলে তারা কিভাবে দুর্নীতি করবে?’

তিনি কালো টাকা সাদা করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ বিধান দেশে অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। আজকে আমরা দেখলাম কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাবনা থাকায় বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল সমালোচনা করেছে। তাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ৩৩ লাখ টাকা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছিলেন। তাদের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সাহেব ৩১ লাখ টাকা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছিলেন। যে দলের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কালো টাকা সাদা করেছিলেন সে দলের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে সমালোচনা করা কোনোমতেই জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’

দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, এবিষয়ে সাধারণ গ্রাহকের কাছে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এখন যথেষ্ট পরিমাণ সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। যেসব ব্যক্তিগত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে সেগুলোর পুনঃচুক্তি করা হোক। তাহলে বিদ্যুতের দাম অনেকাংশে কমতে বাধ্য।’ সূত্র : বাসস