সাতক্ষীরার বল্লীতে এলজিইডি’র রাস্তার কাজে অবৈধ বালু উত্তোলন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ

খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউপিতে এলজিইডি রাস্তার কাজে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এতে ১.৫০ কিলোমিটার রাস্তায় পাইপ জুড়ে বালু উত্তোলন করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পন্থায় কিভাবে বালু উত্তোলন করছে জানতে চান সচেতন মহলে। বল্লীতে একাধিক বার বালু উত্তোলনের ঘটনায় স্থানীয় তহশিলদার কে জানালেও তিনি আজও পর্যন্ত কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তার দায়িত্বহীনতায় চরম ক্ষতির মাশুল গুনতে হবে এলাকাবাসীর। সরেজমিনে দেখা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউপির উত্তর বল্লী গ্রামের শামছুর মেম্বার এর বাড়ীর সামনে ১.৫০ কিলোমিটার রাস্তায় পাইপ জুড়ে বালু উত্তোলন চলছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের একান্ত সহযোগিতায় জনস্বার্থের নামে রাষ্ট্রীয় নিতিমালাকে তোয়াক্কা না করে নির্বিঘেœ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে বি ইউ এস এস । তারা ৭৬ লক্ষ টাকার বরাদ্দে এ রাস্তার নির্মাণ কাজ করছে। এতে উত্তর বল্লীর আজিত মোড়লের পুত্র মহিদুল মোড়ল ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তার মৎস্য ঘেরের জমি থেকে বালু বিক্রয় করেছে।

এ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজে অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধির নিরবতায় মুখ খুলতে নারাজ এলাকাবাসী। তবে এ এলাকায় ভূমিধসের আশংকা করছে সচেতন মহল। পরবর্তীতে এ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর নাম ও সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের বিষয় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও জেলা ইলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করলেও মেলেনি এর কোন সঠিক তথ্য। তবে জেলা এলজিইডি অফিস তথ্য সংগ্রহে আবেদন করলে এ সকল তথ্য দিবে বলে আশ্বস্ত করেন।

এ বিষয় স্থানীয় আব্দুল আলীর পুত্র আজিজুল ইসলাম জানান, আমার চাচাতো ভাই মহিদুল, মেম্বার ও চেয়ারম্যান এর অনুরোধে জনস্বার্থে তার মৎস্য ঘের থেকে রাস্তার কাজে বালু দিচ্ছে।

মৎস্য ঘেরের মালিক একই গ্রামের আজিত মোড়ল এর পুত্র মহিদুল মোড়ল এর কাছে বালু উত্তোলনের বিষয় জানলে তিনি বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী মেম্বার ও চেয়ারম্যান এর অনুরোধে আমার জায়গা থেকে বালু দিচ্ছি। বালু বিক্রয়ের কথা জানলে তিনি অস্বীকার করেন।

বল্লী স্থানীয় মেম্বার সামছুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনস্বার্থে বালু উত্তোলন করে রাস্তায় দিচ্ছি। প্রশাসনিক ভাবে কোন অনুমতি নেয়নি তবে এ নিয়ে কোন সমস্য হলে চেয়ারম্যান সহ এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে যাবো। এ বিষয় বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান এর কাছে জানলে তিনি সম্পুর্ন অস্বীকার করেন।

এ বিষয় কে বি ইউ এস এস এর ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্রয়কৃত বালু উত্তোলনের বিষয় সম্পুর্ন অস্বীকার করে বলেন, আমি নির্মাণ কাজটি ২ বছরে শেষ করবো চেয়ারম্যান মেম্বার কি করলো না করলো এতে আমার কিছু বলার নেই। বল্লী ইউনিয়ন তহশিলদার মহসিন হোসেন মুঠোফোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফতেমা তুজ যোহরা কাছে জানালে তিনি বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয় সাতক্ষীরা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকার এর কাছে এ প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয় খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।