সিরাজগঞ্জ শালুয়াভিটা হাটে কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি!

শাকিল, সিরাজগঞ্জ থেকেঃ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের শালুয়াভিটা মহুমূখি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই শারীরিক দূরত্ব মানেনি। এতে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে সচেতন মহল। এই ঝুঁকির মধ্যে শিশুরাও এসেছে হাটে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের শালুয়াভিটা হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই শারীরিক দূরত্ব মানছেন না, এতে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।

এ রকম একটি হাটে শতাধিক গরু আনা হয়েছে বিক্রির জন্য। এসব গরুর চারপাশে কয়েক শ ক্রেতা-বিক্রেতার জটলা। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। কেউই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। ক্রেতাদের সঙ্গে বেশ কিছুসংখ্যক শিশুরও দেখা মেলে। এ চিত্র মঙ্গলবার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের পশুর হাটের। এভাবে অবাধে ঘুরে বেড়ানোর কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ওই হাটের দায়িত্বে থাকা মো: জাহাঙ্গীর আলম ও জাকির মন্ডল বলেন, শালুয়াভিটা হাটে দুই দিনব্যাপী হাট বসানো হয়। এবারও ইজারা নিয়ে হাটটি বসেছে। সন্ধ্যায় হাট শেষ হবে। হাটে তিন শতাধিক গরু-ছাগল বিক্রি হয়। করোনার কারণে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। গরু-ছাগল বিক্রি কম হবে।

মঙ্গলাবর বেলা দেড়টায় ওই হাট ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের শতাধিক গরু বিক্রির জন্য সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা কোনো সামাজিক দূরত্ব না মেনেই গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে দরাদরি করছেন। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতারই মুখে মাস্ক নেই। বেশ কিছু ক্রেতার সঙ্গে এসেছে তাঁদের শিশুসন্তানেরাও। এসব শিশুর মুখেও মাস্ক নেই। কয়েকজন ক্রেতাকে হাত ধরাধরি করেও ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।

শালুয়াভিটা বহুমুখী হাটের ইজারাদার মো: লুৎফর রহমান বলেন, আমারা হাট কমিটির পক্ষ থেকে বারবার মাইক দিয়ে সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বলেছি। যদি তার পরেও কেউ না মানে আমাদের কিছুই করার নেই।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আনোয়ার পারভেজ বলেন, হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তদারকি জোরদার করা হবে। নিয়ম না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।