সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলায় শিশু ধর্ষক কিশোর নিরব গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মামলা দায়েরের ১২ দিন পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চরকৈজুরি গ্রামের ৬ বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণ মামলার আসামী কিশোরকে (১৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরের দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৬ জুলাই শুক্রবার এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ১১দিন পার হলেও পুলিশ আসামী গ্রেপ্তার না করায় গণমাধ্যমমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হলে শাহজাদপুর থানা পুলিশের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ ১২ দিন পর তাকে শাহজাদপুর পৌর শহরের মনিরামপুর বাজারের টাউন মসজিদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার এসআই ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার প্রামানিক জানান, গত ১৬ জুলাই শুক্রবার বিকেলে দোকান থেকে শিশুটি লাড্ডু ও সিংগারা কিনে বাড়ি ফেরার সময় পথের মধ্যে থেকে তাকে মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে শিশুটিকে পাশের জনমানবহীন মানবমুক্তি এনজিও সংস্থার মডেল তাঁত কারখানার টয়লেটে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওই কিশোর। এরপর থেকে সে পলাতক ছিল।
এ ঘটনার ২দিন পর নির্যাতিতা শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক নিরবকে একমাত্র আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দয়ের করে। তিনি আরো জানান,ওই গ্রামের আব্দুস সালামের বখাটে ছেলে মানবমুক্তি অফিসের কেয়ারটেকার রজব আলীর আশ্রয় প্রশ্রয়ে দিনরাত মানবমুক্তি অফিসে আড্ডা জমিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন ও পিকনিকের নামে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নাচ গান করতো। এ ছাড়া ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের নানা ভাবে উত্ত্যাক্ত ও জাপটে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানী করতো। এ বিষয়ে আব্দুস সালামকে অভিযোগ করেও তারা বিচার পায়নি। এরই এক পর্যায়ে ওই শিশুটিকে একা পেয়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মানবমুক্তি অফিসের টয়লেটে আটকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমরা দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে তাকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছি।এদিকে ধর্ষক কিশোর গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে এলাকাবাসির মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা অবিলম্বে ধর্ষক নিরবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে। এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহিদ মাহমুদ বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামিকে দুপুরে শাহজাদপুর পৌর শহরের মনিরামপুর বাজারের টাউন মসজিদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।