৪৯ বছরে ছয়বার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা সংশোধন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে অর্থাৎ বিগত প্রায় পাঁচ দশক যাবত (৪৯ বছরে) মোট ছয়বার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে এবং ১১ বার মুক্তিযোদ্ধার বয়স ও মানদণ্ড পাল্টেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ হতে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন যে, পরবর্তীতে আগামী ২৬ মার্চ (স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে) মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্নাঙ্গ ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

রাজাকারদের চূড়ান্ত তালিকা সহসা নতুন আইন পাশ না হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আগামী মার্চ মাসে প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর আশা স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতেই ডিসেম্বর নাগাদ প্রকাশ করা যাবে রাজাকারদের তালিকা।

২০২০ সালের ২ রা জুন নতুন করে ১২৫৬ জনকে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছিল সরকার। এক্ষেত্রে তাদের নিয়ে স্বীকৃতি পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় এটাকে ‘প্রকৃত সংখ্যা’ বলা যাচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মনে করেন যে, একজনের নাম একাধিক দলিলে থাকায় প্রকৃতপক্ষে ওই সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হবে না। মন্ত্রীর ধারনা সব মিলিয়ে সংখ্যা ১ লাখ ৮০ এর উপরে যাবে না।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, আগামী মার্চেই প্রকাশ করা যাচ্ছে না রাজাকারদের তালিকা। কারণ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনে এতদিন শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির কথা উল্লেখ থাকলেও স্বাধীনতাবিরোধী, আলশামস, আলবদর, রাজাকারদের তালিকা তৈরির কোনও কথা বলা নেই। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের তালিকা প্রকাশের বিধান যুক্ত করে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন’ নামে একটি নতুন আইন করা হচ্ছে।কিন্তু বর্তমানে সংসদের কোনো অধিবেশন না থাকায় আইন পাশ করতে সময় লাগবে। যার ফলে মার্চে প্রকাশ করা যাচ্ছে না রাজাকারদের তালিকা।

উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা তৈরি করছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরে সরকারকে তা প্রকাশের সুপারিশ করবেন। এছাড়াও
প্রস্তাবিত এ আইনে যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান থাকছে।