৪ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন এবং যারা আমাদের ভোট দেননি, তাদের সবার জন্যই আমরা সমানভাবে কাজ করবো। সুষম উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অন্যতম রাজনৈতিক লক্ষ্য।’

আজ বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় উদযাপনের আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দানকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়কে উদযাপনে কেন্দ্রীয়ভাবে বিজয় সমাবেশের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এর আগে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের দিন তাৎক্ষণিক বিজয় মিছিল না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশ ছিল- বড় বিজয়ের উৎসবও বড় হবে, তাই আজকের মহাসমাবেশকেই বিজয় মিছিলে রূপ দিয়েছে সারাদেশের নেতাকর্মীরা।

আজ বিজয় উদযাপনের দিনে আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের চারটি বিষয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। বিষয়গুলো হলো : সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদক। তিনি বলেছেন, এই চারটি বিষয়ের ব্যাপারে কোন প্রকার ছাড় ও প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এই চারটির বিরুদ্ধে যুদ্ধে যদি আমরা বিজয়ী হই তবে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত দেশ হবে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজনীতিকে আমি কোন ভোগ বিলাসের জায়গা মনে করি না। আমি মনে করি, মানুষের জন্য আমি কতটুকু করতে পারলাম, সেটাই হলো রাজনীতির মূল লক্ষ্য। এজন্যই আমি কাজ করি।’

তিনি বলেন যে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। জাতীয় ঐক্যমতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে সকল রাজনীতিকদের নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেন।

নির্দেশনামূলক এই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, ২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটা উন্নত আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং ২০৭১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং ২১০০ সালের ডেল্টা প্লানের লক্ষ্য ঘোষণা করেন। তিনি বলেন যে, জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। জনগণ ভোট দিয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারের পক্ষে। এই নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য সকলে মিলে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেন, ‘এই ভোটের সম্মান আমি রক্ষা করবো। এই অঙ্গীকার রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে আমি বুকের রক্ত দিয়ে দিবো।’