গণমাধ্যমকর্মী আইন হবে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য:তথ্যমন্ত্রী

এই আমার দেশঃ
গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন, ২০১৮’-এ সাংবাদিকদের দ্বিমত রয়েছে, এ ধরনের বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সংশোধন করা হবে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন হবে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য। শেষ পর্যন্ত এ আইনে যেন কারও কোনো দ্বিমত না থাকে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা-২০২২ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন, এ নিয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতির (হাসানুল হক ইনু) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এটি নিয়ে অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। সেটি কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না। তবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে সর্বশেষ নবম ওয়েজবোর্ড কার্যকর করতে হবে। মালিকপক্ষ আদালত থেকে যে আদেশ এনে ওয়েজবোর্ড দিচ্ছে না, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেন সেটা দ্রুত কার্যকর হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। যার মাধ্যমে সরকার অসুস্থ, অস্বচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের বিশেষ আর্থিক ও চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছে। শিগগির এ ট্রাস্টের একটি নীতিমালা হবে, যেন সঠিকভাবে প্রকৃত সাংবাদিকরা সুরক্ষা পায়।
সাংবাদিক নেতাদের ‘ওয়েজবোর্ড কার্যকর না করা পর্যন্ত সরকার প্রদত্ত বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বন্ধ রাখার’ বিষয়ে ড. হাছান বলেন, এ বিষয়ে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে কীভাবে কী করা যায় সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মিডিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত বিশৃঙ্খলা রয়েছে। সেগুলো একে একে চিহ্নিত করে সমাধান করা হচ্ছে। আমরা বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন বন্ধ করেছি, এতে মালিকরা লাভবান হচ্ছেন। তাদের চ্যানেলের সিরিয়াল করা হয়েছে, সেজন্য ক্যাবল অপারেটরদের কাছে আর জিম্মি হতে হচ্ছে না।
ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ প্রমুখ।