বাংলাদেশে মাফিয়া গ্রুপের কিলার বাহিনীর হুমকির মুখে প্রবাসী সাংবাদিক ও তার পরিবার।

বাংলাদেশে মাফিয়া গ্রুপের কিলার বাহিনীর হুমকির মুখে প্রবাসী সাংবাদিক জোয়ার্দার মুহাম্মদ জুনায়েদ উল্লাহ ও তার পরিবার চরম আতঙ্কে ও হতাশায় দিন কাটাচ্ছে।

এ ব্যাপারে গাজীপুর গাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। জিডি নং ৭৯৩।
তবে জানা যায়, বেশ অনেক বছর ধরে এ অবৈধ মাফিয়া চক্রের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন এই সাংবাদিক ও তার পরিবার। সাংবাদিক জোয়ার্দার মুহাম্মাদ জুনায়েদ প্রবাশে থাকেন ফলে তাকে সুবিধামতো না পেয়ে তার পরিবার বর্গ কে অনুসরণ করে আসছে এ চক্র। তিনি জানান প্রায় দুই দশক আগে রাজধানীর ঢাকায় বহুল প্রচারিত দৈনিক আল-আমিন পত্রিকায় এ অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হয় সাংবাদিক জুনায়েদের রিপোর্টে। পরবর্তীতে মাদকব্যবসায়ীদের অনেকে গ্রেফতার হয় এবং দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকে। তিনি আরো জানান এরপর থেকে এই কিলার বাহিনী ও এই কিলার চক্রটি তাকে তালিকাভুক্ত করে এবং তার পুরো পরিবার এদের টার্গেটে পরে। এই মাফিয়া গ্রুপ ও মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেটে পরে অনেক সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে পুলিশ জানান।

এ ব্যাপারে তার পরিবার পুলিশের কাছে সাধারণ ডায়েরি করে। তার স্ত্রী আসমা বেগম জানান, আমার স্বামী সাবেক স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক আল আমিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ছিলেন। বর্তমানে আমার স্বামী বিদেশ প্রবাসী জীবন যাপন করে। আমি আমার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে আমার গাজীপুরের বাসায় বসবাস করে আসতেছি। বিগত কিছুদিন যাবত অজ্ঞাতনামা কতিপয় লোকজন আমাকে রাস্তাঘাটে পেয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয়। দৈনিক দেশ পত্রিকায় ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকির মুখে প্রবাসী সাংবাদিক ও তার পরিবার নামে প্রকাশ হয়। যা আমার নিকট সংরক্ষিত আছে। তথাপি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি অব্যাহত রেখেছে। কিছুদিন আগে আমার গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর অবস্থান করা কালে অজ্ঞাত নামা কয়েক ব্যক্তি আমাকে হুমকি দেয় যে আমাকে ও আমার মেয়েকে খুন জখম করে ফেলবে এবং তারা হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এ অবস্থায় আমি আমার মেয়েকে নিয়ে চরম হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। যেকোনো সময় অজ্ঞাত নামা মাফিয়া ব্যক্তিরা আমার ও আমার মেয়ের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। বিষয়টি আমি আমার স্বামী সহ সকল আত্মীয়-স্বজনকে অবগত করেছি এবং গাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।