শেখ হাসিনার নির্দেশে মোংলার উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে- মেয়র-খালেক

মাসুম বিল্লাহ,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

শারীরিক সুস্থতার জন্য পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধূলার অনুশীলন করতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের অধিকতর মনোযোগী হতে হবে। প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম বজায় রাখতে হবে। পদ্মা সেতু নির্মানে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে মোংলা বন্দর। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মোংলার উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে মোংলার দিগরাজ ডিগ্রি কলেজের আয়োজনে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কপোর্রেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ তুষার গাইন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহি অফিসার কমলেশ মজুমদার, সহকারি পুলিশ সুপার মো. আসিফ ইকবাল, বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস আলী ইজারদার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শিক্ষাবিদ সুনীল কুমার বিশ্বাস। এছাড়া সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং সংবর্ধিত অতিথি মো. গোলাম সরোয়ার, প্রাক্তন অধ্যক্ষ মো. মোতাহার হোসেন, বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নিখিল চন্দ্র রায়, বর্তমান চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক মো. নূর আলম শেখ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. ইস্রাফিল হোসেন হাওলাদার, অধ্যাপক অসিত সরকার, বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু শেখর, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দেওয়ান প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রভাষক ধ্রুব শংকর রায়। প্রধান অতিথির বক্তৃতার সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক আরো আলো বলেন এই মার্চ মাসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘুমন্ত জাতিকে স্বাধীনতার সংগ্রামের জন্য জাগ্রত করেছিলেন। ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাক বাহিনী এক লাখ বাঙ্গালীকে হত্যা করে। তাই বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা করেন। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক-কর্মচারিদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করেন। এছাড়া ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।